ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচন ভবনে অগ্নিকাণ্ড: আশঙ্কার তুলনায় ক্ষতি কম হয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯
নির্বাচন ভবনে অগ্নিকাণ্ড: আশঙ্কার তুলনায় ক্ষতি কম হয়েছে

ঢাকা: নির্বাচন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পরেরদিন ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ শেষে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, যেভাবে আশঙ্কা করেছিলাম সে তুলনায় সেরকম কোনো ক্ষতিই হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ খুবই নগন্য।

তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কন্ট্রোল ইউনিটের কোনো ক্ষতি হয়নি। কেবল মনিটর পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৬ মিনিটের দিকে আগুন লেগে যায়। যেখানে ৪ হাজার ৫শ’ ইভিএম সংরক্ষিত ছিলো।

ব্রিগেডিয়ার সাইদুল বলেন, এটা আমরা বলবো যে ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের জন্য এবং টিম ওয়ার্কের জন্য এতো বড় একটা ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি। আগুনে সেখানে থাকা ব্যালট ইউনিট রয়েছে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। পয়েন্ট অব ফায়ার যেটা দেখলাম মেইনলি কেবলের দিকে ফায়ারটা ছড়িয়েছে। যার জন্য উপরের কেবলগুলো পুড়ে গিয়েছে। যে এসিগুলো ছিল সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্যাবল বক্সগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের ব্যালট ইউনিট, মনিটর, কন্ট্রোল ইউনিট যেভাবে আশঙ্কা করেছিলাম সে তুলনায় সেরকম কোনো ক্ষতি হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ খুবই নগন্য।  

রংপুরে ইভিএম ব্যবহারে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের পর আমরা দেখবো। এনআইডি উইংয়ের পক্ষ থেকে আমরা বলব সেখানে ইভিএম ব্যবহার করার চেষ্টা করবো। আমরা সেই ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। বাকিটা তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ করে কমিশনে উপস্থাপন করবো। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।

তিনি বলেন, এখানে সাড়ে ৪ হাজার সেটের মতো ইভিএম রেখেছি। সেগুলো বিভিন্ন রুমে রয়েছে। যেই রুমে আগুন লেগেছে সেই রুমে দুই মিটারের মধ্যে আমরা দেখলাম, কোনো কন্ট্রোল ইউনিট অথবা ব্যালট ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যেটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটুকু পানি দিয়ে নেভানোর কারণে হয়েছে। পানি যেহেতু স্প্রে করা হয়েছে, স্প্রে করার কারণে অতিরিক্ত পানিগুলো যাতে ব্যালট ইউনিটে ক্ষতিগ্রস্ত না করে সেই জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।  

আরেক প্রশ্নের জবাবে এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, যখন যে কোনো সেন্টারের জন্য, যে কোনো কেন্দ্রের জন্য, যে কোনো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে যাই;  তখন আমরা প্রাথমিকভাবে বিএমটিএফ (বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি) ডিমান্ড পাঠাই। সেই ডিমান্ড অনুসারে তারা আমাদেরকে সাপ্লাই করে। সাপ্লাই করার পর কোয়ালিটি চেকিং করি। চেকিং করে ফাইনালি আমাদের যে কারিগরি টিম রয়েছে, তারা দেখে যে যেখানে নির্বাচন হবে সেই আসন এবং কেন্দ্র, সেই কেন্দ্রের সাথে বুথ আছে, তার সাথে এটা সামঞ্জস্য ঠিক আছে কি না। তারপর আমরা কোয়ালিটি চেকিং করি। তারপরে কাস্টমাইজড করে সেগুলো আমরা পাঠিয়ে দেই। এটা একটা স্টেপ বাই স্টেপ অ্যাকশন। সেই অ্যাকশনের অংশ হিসেবেই আমরা এখানে মেশিনগুলো জাস্ট জমা করেছি। কোনো কাস্টমাইজড বা কোয়ালিটি চেকিং শুরু করিনি। আগামীকাল থেকে শুরু করার কথা ছিল।  

তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখলেই বুঝতে পারতেন কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট পোড়ার তেমন কোনো কোয়েশ্চেন নাই। দুই মিটারের মধ্যে আমরা খুলে দেখেছি, কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট পুড়ে নাই। তবে আমরা আশঙ্কা করছি, যে পানির কারণে যাতে ব্যালটগুলো নষ্ট না হয়, এ জন্য কমিটির সুপারিশগুলো কমিশনকে অবহিত করবো। একই সঙ্গে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো, যাতে আমাদের জাতীয় সম্পদগুলো নষ্ট না হয়।  

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ওখানে যেহেতু কেউ বসবাস করে না। সেখানে কোনো হিটার নেই। কাজেই শর্ট সার্কিট ছাড়া অন্যকিছু তো দেখছি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।