ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচন পরিস্থিতি প্রতিবেদন পাঠাতে থাকছে ‘বিশেষ টিম’

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
নির্বাচন পরিস্থিতি প্রতিবেদন পাঠাতে থাকছে ‘বিশেষ টিম’

ঢাকা: আসন্ন রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম ঘটলে তার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নিজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি ‘বিশেষ টিম’ নিয়োজিত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই কমিটির কাজ হবে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই ইসিতে নির্বাচনের ‘পরিস্থিতি প্রতিবেদন’ পাঠানো।

আগামী ৫ অক্টোবর এ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর পাশপাশি প্রশাসন ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবেন।

কিন্তু ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ওই ‘বিশেষ টিমের’ কাজ হবে সময় সময় পরিস্থিতি প্রতিবেদন পাঠানো।

সূত্র জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে কিছুটা সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ইসি থেকে সিদ্ধান্ত দিতে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে আরও সময়ের প্রয়োজন হয়। আর পরিস্থিতি প্রতিবেদন পাঠাতে বিশেষ টিম আগেভাগেই সবকিছু জানিয়ে রাখতে পারবে এবং সে অনুযায়ী, নির্দেশনাও কম সময়ের মধ্যে দিতে পারবে কমিশন।

ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে বিশেষ টিম নিয়োগের নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ চলাকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পরিস্থিতি প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হবে।  

এ কার্যক্রম ভোটর ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। এ কাজে কোন কোন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নাম ও পদবি দ্রুত জানাতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের টেলিফোন নম্বর ও ফ্যাক্স সচল থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বৈরশাসক প্রয়াত এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই চিকৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সচিবালয় গত ১৬ জুলাই রংপুর-৩ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।

নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ, বিএনপির রিটা রহমান, স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রংপুর-৩ আসনটি সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ নম্বর ব্যাতীত রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিয়েছিল ইসি। ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। ভোট পড়েছিল ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
ইইউডি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।