ইসি সূত্র জানিয়েছে, চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ৯৫ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন ৩০ লাখের মতো নাগরিক।
নির্বাচন কমিশন দেশের সব নাগরিকদের এনআইডি দেওয়ার লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা নিয়েছিল, তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবার ১৮ বছরের নিচে চার বছরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এক্ষেত্রে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যারা জন্মগ্রহণ করে তাদের তথ্য নেয় সংস্থাটি। এতে চলতি বছর ১৮ পূর্ণ করেছে এমন নাগরিক ৩০ লাখের মতো। আগামী ১ মার্চ তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। অন্যরা পর্যায়ক্রমে যুক্ত হবে তালিকায়।
চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম মার্চে শেষ হলেই অপ্রাপ্তবয়স্ত ৬৫ লাখের বেশি নাগরিকের মধ্যে এনআইডি বিতরণে যাবে ইসি। যাদের বয়স হবে ১৫ থেকে ১৭ বছর। চাকরি, পাসপোর্ট, হজ নিবন্ধন ইত্যাদি কাজের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, আইনের কোনো ব্যত্যয় না হওয়ায় ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আমরা জেলা নির্বাচন কার্যালয়গুলোতে এসব কার্ড প্রিন্ট করে উপজেলা পর্যায়ে বিতরণে যাবো।
১৮ বছরের কম বয়সীদের এনআইডি দেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, হজ, সরকারি চাকরি বা বিদেশ গমনের জন্য এনআইডি এখন সবার প্রয়োজন পড়ে। এসএসসি পাসে অনেকের নিয়োগ হয়। এছাড়া ব্যাংক হিসাব খুলতেও প্রয়োজন। আমরা চাই সবাইকে এনআইডির আওতায় নিয়ে আসতে।
২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাযক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এবার ৯৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫৩ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকের খসড়া ভোটার তালিকা আগামী ২০ জানুয়ারি আর ১ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে যার মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বর্তমানে ইসির সার্ভারে ১০ কোটি ৪২ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের তথ্য আছে। যাদের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
ইইউডি/আরবি/