রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট পরিষদ ও সুইডেন অ্যাম্বাসি আয়োজিত ‘নিরাপদ নারীবান্ধব ঢাকা মহানগরী গড়তে সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলরদের করণীয় শীর্ষক’ মতবিনিময় সভায় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
মোবাশ্বের হোসেন বলেন, আমাদের ঢাকার চেয়ে স্থানীয় মেয়রের ক্ষমতা অনেক বেশি।
নারীর নিরাপদ পরিবহন ইস্যুতে তিনি বলেন, আজ আমরা দেখি সচিবালয়ের পাশে শত শত গাড়ি বসে থাকে দিনে দুইটা ট্রিপের আশায়, একই দৃশ্য দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা ও হাইকোর্ট এলাকায়। অথচ এসব গাড়িচালকরা সরকারি বেতনে চলে, এই গাড়িগুলো রাস্তায় নামানো হলে নারীর বিকল্প কোনো পরিবহনের দরকার হতো না। জানি এটা হবে না, কারণ প্রশাসনের অনেকেই পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এসব গাড়িগুলো রাস্তায় এলে তাদের ব্যবসা দখলের ভয় থাকবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, একজন নারী কর্মক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় কম কাজ করে না। নারী পরিবারের সব কাজ শেষ করে কর্মক্ষেত্রের কাজ পরিপূর্ণ করে। এরপরও তাদের নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যয়ন দেওয়া হয় না। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হতে হবে। পিছিয়ে পড়া নারীকে এগিয়ে নিতে হবে। আবার নারীদের ভাবতে হবে পুরুষকে নিয়ে নয় নারী-পুরুষ একসঙ্গে যেতে চায়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, দক্ষিণ সিটির সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল প্রার্থী ও যুব মহিলালীগ নেত্রী নারগিস মাহতাব, নারী কাউন্সিলর প্রার্থী শামসুন্নাহার, শামসুন্নাহর ভূঁইয়া, শাহানা আক্তার মিতু, পারভিন খায়ের প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ইএআর/এএটি