ঢাকা সিটি নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি থেকে পরিবর্তন করার জন্য রিট আবেদন আদালত খারিজ করে দেওয়ায় শাহবাগে অবরোধ চলছে। এসব নিয়ে মো. আলমগীর সাংবাদিকদের তার কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বলেন, আমাদের এ বিষয়ে নতুন করে বক্তব্য নেই।
‘৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তারা অন্য তারিখে ভোট নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কমিশন কেন পেছানো সম্ভব নয়, তা ব্যাখ্যা করেছেন। তারা হয়তো সে ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি। ’
তিনি বলেন, তারা আদালতে গিয়েছেন। আদালত উভয়পক্ষের কথা শুনে তারাও বিবেচনা করে দেখেছেন যে, ৩০ জানুয়ারি সর্বোত্তম দিন। তারা কনভিন্সড, যে কারণে বলেছেন যে ৩০ জানুয়ারি ভোট করতে কোনো বাধা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, পরিস্থিতি অবনতি হবে, কেন এটা বলেছেন তা আমাদের বোধগম্য হয়নি। তারাও যারা ধার্মিক, তারাও জানেন যে, আইন-শৃঙ্খলা মানতে হয়। সবাই সচেতন নাগরিক। নির্বাচন জমে উঠেছে। সবাই নির্বাচনমুখী। আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আশা করি না। এরপরও তারা আদালতে গেছেন। যে রায় এসেছে তারাও নিশ্চয় তা মাথা পেতে নেবেন।
‘ভুল-ভ্রান্তি থাকলেও সবাই হয়তো বুঝবে ৩০ জানুয়ারি ভোটের সিদ্ধান্ত বৃহত্তর স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে। একটা সুন্দর দিন বেছে নেওয়া হয়েছে। কারোরই কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ’
তিনি বলেন, কমিশন যেটা বলেছে, সব স্কুলে কিন্তু পূজা হয় না। বাকি স্কুলে যেখানে পূজা হবে, সে জায়গাটা ছেড়ে দেবে। আবার সরকারি অনেক অফিস, আদালতেও পূজা হয়। সেখানে অনেক রুম থাকে। তাই যেখানে পূজা হবে, সে রুম ছেড়ে দিয়ে অন্য রুমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। পূজার জায়গায় পূজা চলবে, নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন হবে।
রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনেও দূর্গাপূজার সপ্তমী ছিল। সেখানে তো কোনো সমস্যা হয়নি। নির্বাচনও হয়েছে, পূজাও হয়েছে একই প্রতিষ্ঠানে পশাপাশি। কোনো সমস্যা তো হয়নি।
শাহবাগে অবরোধ করেছে রায়ের পর, পরে কী হতে পারে, কী ব্যবস্থা নেবে ইসি- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, আদালত যেখানে রায় দিয়েছে, সেখানে আপনাদের-আমাদের-কমিশনের তো কোনো বিষয় নেই। রায়ের প্রতি তো তাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। তারা আপিল করলে করতে পারেন। আপিলের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। নির্বাচন ও পূজা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের তো কিছু নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
ইইউডি/এএ