তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসীরা অনেক জায়গায় ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে বাধা দিচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়া এবং কর্মীদের মারধর ও পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থীই নির্বাচনী আচরণ বিধি মানছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। বিষয়টি যেহেতু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, তাই সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বিএনপিপ্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনী প্রচারণার ষষ্ঠদিন বুধবার ধানমন্ডি ১৪ নং সড়কে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে বেলা একটায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
এ সময় রাস্তার দুইপাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ হাত নেড়ে ইশরাক হোসেনের প্রতি সমর্থন জানান। হাত নেড়ে জনতার শুভেচ্ছার জবাব দেন তিনিও।
পরে ধানমন্ডি ১৫ নম্বর ঝিগাতলা হয়ে হাজারীবাগ, রায়েরবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন বিএনপিপ্রার্থী ইশরাক।
এদিকে হাজারীবাগে এক পথসভায় ইশরাক হোসেন বলেন, ‘হাজারীবাগ মহানগরীর অধীন হলেও এই এলাকার মানুষ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত। নির্বাচিত হলে আধুনিক ঢাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাজারীবাগের উন্নয়ন করা হবে। হাজারীবাগে বিরাজমান সমস্যা দূরীকরণ, বায়ু দূষণসহ পরিবেশ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরূত্ব দেওয়া হবে।
গণসংযোগে বিপুল সংখক কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণকে শোডাউন বলে আওয়ামী লীগ যে অভিযোগ করছে তা নাকচ করে তিনি বলেন, এটা শোডাউন নয়। এটি এলাকার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। এটি বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাস, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপাতি ফজলুর রহমান খোকনসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
এমএইচ/এমএ