বুধবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
আদালতে দুদকের সহকারী পরিদর্শক আক্কাস আলী বাংলানিউজকে জানান, সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ দেয়ার পরও তা দাখিল না করায় ইশরাকের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের হয়।
অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে ইশারক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইশরাকের পক্ষে তার আইনজীবী অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী গোলাম হায়দার চৌধুরী অভিযোগ গঠনের আর্জি জানান। এ সময় আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এ সময় বিচারক তার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান ইশরাক।
২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক ও তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে, বেনামে বা তাদের পক্ষে অন্য নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, সম্পত্তির দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে বলেন। তবে নোটিশের প্রেক্ষিতে বিবরণী দাখিল না করায় ২০১০ সালের আগস্টে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন সংস্থাটির তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আলম।
নির্দিষ্ট তারিখে সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬ (২) (ক) ধারামতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়। ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর এ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৯ সালের ৫ মে অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করা হয়।
এরপর ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য যান ইশরাক। তখন চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী গত ৯ ডিসেম্বর ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এবার এই মামলায় তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
কেআই/এফএম