ইশরাক হোসেন বলেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখেই সরকার ভুয়া মামলা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছে। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই সরকার এক-এগারোর মামলা সচল করছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের সময় সব দলের নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা হয়েছে। কিন্তু এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের দলীয় নেতা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গায়েব করে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে আমাদের দলের নেতাদের মামলা একটিভ করেছে’।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, মামলাটি অবশ্যই রাজনৈতিক। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ মামলা করা হয়েছে। ২০০৮ সালে আমাকে একটা নোটিশ দেওয়া হয়েছিল আমার সব উইল স্টেটমেন্ট দেওয়ার জন্য। তখন আমি ছাত্র। পড়াশোনা করতে দেশের বাইরে ছিলাম। আমি নোটিশটা পাইনি। সেটার জন্য মামলা দিয়েছে, অন্য কিছু নয়। সে মামলা নিয়ে আজকে এসে তারা নাড়াচাড়া করছে। আমি বলবো যে এগুলো করে কোনো লাভ নেই। এতে আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত নই। এগুলো আমি কোনো বাধাই মনে করছি না।
তিনি বলেন, এ মামলা দায়ের হয়নি। আজকে আমার একটা হাজিরা ছিলো। মামলা দায়ের হয়েছিল ২০১০ সালে। নোটিশ জারি হয়েছিল ২০০৮ সালে। এটা নতুন কিছু নয়। আমি আমার হলফনামায় লিখে দিয়েছি মামলা আছে।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকেও ভুয়া মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। এক-এগারোর সময় আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মামলা নিজেদের পক্ষে শেষ করলেও আমাদেরগুলো সচল রাখে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেন এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদের বিবরণী দুদকে দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কনস্টেবল তালেব কমিশনের নোটিশটি জারি করতে তাদের বাসভবনে যান। কিন্তু ইশরাক হোসেন সেখানে উপস্থিত না থাকায় উপস্থিত চারজনের (সাক্ষী) সামনে বাসভবনের নিচতলায় প্রবেশ পথের বাম পাশের দেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে ঝুলিয়ে নোটিশটি জারি করেন।
কিন্তু দুদকের দেওয়া ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব নির্ধারিত ফরমে দাখিল করেননি ইশরাক হোসেন। এ ঘটনায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এমএইচ/জেডএস