বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলমগীর বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন কেন করছেন, কারা এটিকে সংগঠিত করছেন, সেটার তথ্য আমাদের কাছে নেই।
‘তাদের হয়তো বলা হচ্ছে, গোপন করে অন্যভাবে বোঝানো হচ্ছে। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝতেই পারেন। কারণ তাদের তো বয়স কম। আমার ধারণা তাদের এই ভুলটা কেটে যাবে। তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। ’
তিনি বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা, মার্চ স্বাধীনতার মাস, এরপর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের নানা প্রোগ্রাম অছে। আবার এপ্রিলে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। মে মাসে নির্বাচনের যে তারিখ আছে, তা কোনোভাবেই করা সম্ভব না। শিডিউল এমনভাবে দিতে হবে যে, প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হবে প্রচারের জন্য। এক্ষেত্রে একদিন কম দিয়ে ১৪ দিন সময় দিলে প্রার্থীরা আবার আদালতে যেতে পারবেন। আদালতও আইনের পক্ষে রায় দেবেন। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই কমিশন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গতভাবে ৩০ জানুয়ারি ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, সরকারি ক্যালেন্ডারে ২৯ তারিখ পূজার কথা বলা আছে। ক্যালেন্ডার তো সেদিন হয়নি, এটি অক্টোবরে হয়েছে। এবং নভেম্বরে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। সমস্ত সরকারি প্রতিস্তানে এই ক্যালেন্ডার রয়েছে। তখন কেন তারা সরকারের কাছে বলেননি পূজা ২৯ নয় ৩০ তারিখে। সরকার যদি মনে করতো পূজা ৩০ তারিখে, তাহলে সেদিন পূজার তারিখ ঘোষণা হতো। আমরাও ২৯ তারিখেই শিডিউল দিতে পারতাম, কোনো সমস্যা ছিল না। সরকারিভাবে ২৯ তারিখ পূজার তারিখ দেওয়ায় সেদিন ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না নির্বাচন কমিশনের।
নির্বাচন পেছানোর রিট আবেদন খারিজের পর আপিল আবেদন হওয়ার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, আমাদের সবসময় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। যেকোনো আইনের ব্যাখ্যা বা প্রশাসনিক কোনো কাজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আদালত সেটাকে পরিবর্তন করে দিতে পারেন। সে ক্ষমতা আদালতের আছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালত। সেখান থেকে যদি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আসে, সেটা অবশ্যই কমিশনের মেনে নিতে হবে। আমরা আশা করবো হাইকোর্ট যেসব যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টেও যারা শুনানি দেবেন, তারা নিশ্চয় সে যুক্তি শুনবেন। এরপরও তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই কমিশনকে সবসময় মেনে নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ইইউডি/টিএ