বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে লালবাগ থানার সাগুন কমিউনিটি সেন্টারে ‘প্লাস্টিক শিল্পের সমস্যা ও সমাধান শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা সিটির উন্নয়নে পাঁচ দফা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, দৈনন্দিন কাজে একস্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে আমাদের নাভিশ্বাস উঠে যায়।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোন দেশেই একই রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে না। কোন সড়কে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল করবে। কিছু সড়কে ধীরগতির যানবাহন চলবে। কিছু সড়ক থাকবে যেখানে আমরা প্রাণের আনন্দে হেঁটে বেড়াবো। কিছু সড়কে আমাদের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি টগবগিয়ে চলবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে ঢাকা যানবাহন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্বিন্যাস করতে চাই।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী ঢাকার উন্নয়নের বিষয়ে এর আগে কেউ চিন্তা করেননি। আমি সেই চিন্তা এবং মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। বিগত সময়ে ঢাকায় গাছপালা এবং সবুজে ভরা ছিলো, বায়ুদূষণ ছিলো না। আমাদের প্রাণের ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। তাই আমাদের প্রথম কাজ হবে ঐতিহ্যের ঢাকাকে স্বকীয়তা বজায় রেখে তার অপরূপ সৌন্দর্য শুধু ঢাকাবাসী বা দেশবাসীর কাছে নয় সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে আধুনিক এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করা হবে। যেন এলাকাবাসী বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্বল্পমূল্যে আয়োজন করতে পারে। এভাবেই আমরা আমাদের ঢাকাকে সুন্দর ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
মাদক নির্মূল প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আমাদের বিভিন্ন যে সামাজিক ব্যাধিগুলো রয়েছে, যেমন মাদক যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, এটা কোনদিনই প্রশাসন দিয়ে নিরসন করা সম্ভব না। এলাকার খ্যাতনামা ও মুরুব্বি ব্যক্তিদের নিয়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব সামাজিক ব্যাধির এলাকাভিত্তিক সমাধানের চেষ্টা করবো।
ঢাকাবাসীর নাগরিক সেবা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মশক নিধন প্রজননের আগে করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের দিনের কাজগুলো দিনেই সম্পূর্ণ করতে হবে। আমরা এখন ডিজিটাল যুগে চলে এসেছি। ডিজিটাল যুগে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান করা কোন সমস্যা নয়। অগ্নিনির্বাপনের জন্য ঢাকার রাস্তায় পাইপলাইনের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে একটি দিন নির্ধারণ করে দেবো, যেদিন ঢাকাবাসী তার কথা মেয়রের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে বলতে পারবেন। মেয়র ঢাকাবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত, তাই ঢাকাবাসীর অধিকার রয়েছে তার মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার। মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য নয় ঢাকাবাসীর জন্য নগর ভবনের দরজা ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে।
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা নির্বাচিত হলে সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্লাস্টিক অ্যান্ড রাবার ফাউন্ডেশনের সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল হাসনাত, আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন পুরান ঢাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
আরকেআর/এএটি