বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংকাদিকদের এসব কথা জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কনপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সচিব বলেন, সরকারি গাড়িগুলো শুধু চলবে। এক এলাকায় বসবাস করে কিন্তু ভোটার অন্য এলাকার, তারা তাদের প্রাইভেটকার নিয়ে ভোট দিতে পারবেন। তখন যদি পুলিশ ধরে, বাসার ঠিকানা আর ভোটার আইডি কার্ড দেখিয়ে বলতে হবে যে, ভোট দিতে যাচ্ছি বা আসছি, তাহলে পুলিশ ছেড়ে দেবে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। প্রাইভেটকার জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে। তবে, এক্ষেত্রে প্রমাণ দেখাতে হবে। ভোট দিতে যেতে পারবে। তাই বলে এমনি ঘুরবে সেটা হবে না।
৩০ হাজার ভোটারের জন্য একটি ক্যাম্প করার বিধান না মানলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এটা যদি আচরণবিধির বাইরে হয়, তাহলে রিটার্রিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দেখবেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ তারা নিয়েছেন। শাস্তিও দিয়েছেন।
বহিরাগতদের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ঢাকা শহর থেকে বহিরাগতদের বের করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ঢাকা শহরে সারাদেশ থেকে লোকজন আসে। তারপর দিনমজুর, তারা ঢাকা বাইরে আসেন। তাদের বের করা সম্ভব না।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র যাদের কাছে, তাদের ধরতে জোরদার পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। খারাপ কোনো পরিস্থিতির প্রতিবেদন নেই। সবই ভালো। খুবই আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশে সব প্রার্থী প্রচার চালাচ্ছেন। যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের জরিমানা করা হয়েছে। তারপর সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বিধি ভঙ্গ করলে আরও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ক্রমান্বয়ে কঠোরতা বাড়ানো হবে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রস্তুতি সন্তোষজনক। কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। ভোটে যারা সক্রিয় থাকবে, তার ওপর ভোটার উপস্থিতি নির্ভর করবে। অনেকেই ভোটার নয়, পরিচিতি বাড়ানোর জন্য প্রার্থী হয়। কেউ সরে গেলে কী করার আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ইইউডি/এএটি