শনিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সদরঘাটে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের সামনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে তিনি একথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের সব নেতাদের সর্বসম্মতভাবে আমাকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
জনগণেল উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলতে চাই- গত ৯ বছরে ঢাকার পরিস্থিতি কোন দিকে গেছে আপনারা ভালো করেই জানেন। আমি গতকাল (শুক্রবার) যাত্রাবাড়ী, কদমতলী ও শ্যামপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরেছি। সেখানে আমি যে নোংরা আবর্জনা দেখেছি সেটা মানুষের বসবাসযোগ্য নয়। শুধু যাত্রাবাড়ী এবং শ্যামপুরেই নয়, পুরো ঢাকার চিত্রই এক। এই শহরের কোনো অভিভাবক আছে বলে মনে হয় না।
বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বের দূষিত নগরীর যতগুলো সূচক রয়েছে সবগুলোতেই ঢাকা এক নম্বরে। সব নেগেটিভ বিষয়গুলোতে আমরা এক নম্বরে রয়েছি। বায়ুদূষণে আমরা এক নম্বর, অগোছালো নগর হিসেবে আমরা এক নম্বর। নারী ও শিশুদের অনিরাপদ শহর হিসেবে আমরা এক নম্বরে আছি। আমরা এমন পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পাইনি।
‘এর কারণ একটাই। এই সরকার যেহেতু সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেনি তাই জনগণের প্রতি এবং শহরের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। যারা মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। আমরা প্রতিটা গলিতে গলিতে যখন হাঁটি তখন দেখি কী ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। ’
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক। অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন পর্যায়ক্রমে ৩২ ও ৩৩ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও প্রচারণা করছেন। বংশাল এলাকায় গিয়ে দিনের প্রচারণা শেষ করার কথা রয়েছে তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
এমএইচ/এমএ