এ বিষয়ে আবদুল বাতেন বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন প্রার্থী আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে। আমরা নিজেরাও বেশ কিছু আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকে আমরা আরও দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই। একটি বিষয় ঠিক যে, তার নির্মোহভাবে কাজ করছেন। কোনো দলের প্রার্থীকে তারা বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন না। এটি ভালো দিক। কিন্তু তাই বলে ‘সবাইকে চুরি করতে’ বলা যাবে না।
এ অবস্থায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতনদের বৈঠক মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় এ বৈঠক শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান। এতে ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন, ২৫ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন।
এ বিষয়ে আবদুল বাতেন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি একটি রুটিন বৈঠক। নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
তবে ঢাকা দক্ষিণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ সভায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কর্মকাণ্ডে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে নালিশ করা হবে। কারণ, তারা মনে করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন না। এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনের আগেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
আরও জানা যায়, ইতোমধ্যে ৪২টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে কার্যালয়ে। যার মধ্যে ১১টি অভিযোগের তদন্ত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু এর কোনোটির বিষয়েই এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন ২০০৯-এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালন ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী নির্বাচনী অপরাধ রোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোনো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
ডিএন/এফএম