ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গোপীবাগে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
গোপীবাগে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন

ঢাকা: রাজধানীর গোপীবাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে গোপীবাগের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের প্রেস সেক্রেটারি খুরশীদ আলম জানান, ইশরাক হোসেনের প্রচারণায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

দুপুর একটার দিকে গণসংযোগে এ হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এবং বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদিন সকাল সাড়ে এগারোটায় প্রচারণা শুরু করে গোপীবাগের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের সামনে দিয়ে গণসংযোগের যাওয়ার সময় রাস্তার দুপাশ থেকে বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে দু'গ্রুপের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও রড- লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষ চললেও, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যদের চোখে পড়েনি। প্রায় আধা ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।  বর্তমানে ইশরাক হোসেন গোপীবাগে তার বাসায় অবস্থান করছেন।

ওয়ারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।

এ ঘটনায় আহত নয়াদিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার ইকবাল মজুমদার তৌহিদ জানান, ইটের আঘাতে তার মাথা ফেটে গেছে। তিনি এখন সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৬ জন ঢামেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৫ জন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সদস্য। এ ঘটনায় আহত ইয়াসিন আরাফাত রকি (৩০) নামের একজনকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইনেসপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, রকিকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে আসার আগে থেকেই তার মাথায় ব্যান্ডেজ করা ছিল।

ওয়ারি ডিভশনের ডিসি ইফতেখার আহমেদ বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাকসহ দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের সামনে আসার পর মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। আর সেখানেই ছিল এই সিটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্বাচনী ক্যাম্প। আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান শোনার পর ক্যাম্প থেকে নেতাকর্মীরা বের হয়ে এ ধরনের স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।  এ নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তর্কাতর্কি সংঘর্ষে রূপ নেয়।  এসময় ইশরাকের সমর্থকরা তাপসের ক্যাম্প ভাংচুর করে।  সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এমএইচ/এজেডএস /এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।