তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদেরও নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে ভোটের সময় দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে রোববার (২৬ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে এসব কথা জানান ইসি সচিব।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। তবে যেখানে ভোট দেওয়া হয় অর্থাৎ বুথে (গোপন কক্ষে) যেতে পারবেন না। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের কক্ষে ঢুকে ফটো নিতে পারবেন না। তবে একসঙ্গে অনেকেই ভোটকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। এতে ভোটগ্রহণে অসুবিধা হবে।
অনেক সময় সাংবাদিকদের কেন্দ্রের ভেতের প্রবেশ করতে দিতে চায় না পুলিশ-বিষয়টি সামনে আনলে ইসি সচিব বলেন, সাংবাদিকরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই দায়িত্ব পালন করবে। আর পুলিশ যদি সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়, তবে সেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। আমি এরইমধ্যে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি-যেন সাংবাদিকদের ভোটের কাজে বাধা দেওয়া না হয়।
‘আপনারা পুলিশকে বলবেন, যে আপনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন না। কমিশন ভোটের দায়িত্ব পালনে অধিকার দিয়েছে। ’
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের গাড়ির স্টিকার দিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কোন হাউজকে কতটি স্টিকার দেওয়ার হবে, সে সংখ্যা নির্ধারণ করা উচিত।
এই বক্তব্যে সাংবিদকরা আপত্তি জানালে সচিব আগের মতোই (হাউজ কর্তৃক তালিকা অনুযায়ী) কার্ড ও স্টিকার দেওয়ার বিষয়ে একমত হন।
সভায় বিভিন্ন মিডিয়া হাউজে কর্মরত সাংবাদিক ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/