মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন ইসি সচিব মো. আলমগীর।
এক-এগার সরকারের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন দায়িত্বে ছিল।
ওই কমিশনের সমালোচনা করে মো. আলমগীর বলেন, ওইসব আচরণবিধি চাপিয়ে দেওয়ার কাজটা হয়েছিল ২০০৯ সালে। তখন কেয়ারটেকার সরকার ক্ষমতায় ছিল। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে তারা জনগণ ও রাজনীতিকদের সঙ্গে খুব একটা কথা বলে আচরণবিধিমালা করে না। তখন সংলাপ হলেও সেটা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়। অনেকের ভেতর ভয়-ভীতি থাকে। তারা আচরণ বিধিমালাসহ অনেক কিছু চাপিয়ে দেয়। ২০০৯ আর এখনকার পরিস্থিতি তো এক নয়। এখন ডেমোক্রেটিক গর্ভনমেন্ট, ডেমোক্রেটিক সিচ্যুয়েশন। স্বাধীনভাবে মানুষ কথা বলতে পারে। এখন টক-শো করছেন, এতো টেলিভিশন, এতো পত্রিকা। তখন কী এগুলো করতে পারতেন? এতো কিছু বলতে পারতেন?
‘২০০৯ সালে সাংবাদিকেদের ওপরও অনেক বাধা-নিষেধ ছিল। আপনারা কী চান এখনও সেই আচরণ বিধিমালা থাকুক? এখন গণতান্ত্রিক পরিবেশ। ফলে সেই আচরণ বিধিমালা আধুনিকায়ন করতে হবে। তার মানে এই নয় কাউকে অন্যায় কোনো সুবিধা দেওয়া হবে। এটি হালনাগাদ করতে হবে। ’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আনন্দ, উল্লাসময় অংশগ্রহণমূলক পরিবেশে প্রার্থী-সমর্থকরা যদি প্রচারে অংশ নেন, তবে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তাই আচরণবিধি যুগোপযোগী করতে হবে। তবে মানুষের যাতে অসুববিধা না হয়, প্রচারণাও যেন তারা সুষ্ঠুভাবে করতে পারে সেটাও দেখতে হবে।
সম্প্রতি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে মন্ত্রী, এমপিরা প্রচারে অংশ নিতে পারেন না বিধায় বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আচরণবিধিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিকার চেয়েছে। দলটির নেতা তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল প্রচার শুরুর প্রথমদিকে ইসির সঙ্গে সাক্ষাত শেষে বর্তমান আচরণবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
ইইউডি/এইচজে