বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর, নতুন পথে যাত্রা শুরুর।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আপনাদের সমর্থন ও ভোটে নির্বাচিত হলে পাঁচটি রূপরেখা নিয়ে অগ্রসর হতে চাই। আমাদের পাঁচটি রূপরেখা, ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা ও সুন্দর ঢাকা।
নগর সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের অধীনে সিটি করপোরেশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে সেটাই যথেষ্ট। ঢাকাবাসীর উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা সিটি করপোরেশন প্রণয়ন করবে। আমি বিশ্বাস করি সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে ঢাকাবাসী একটি উন্নত ঢাকা পাবে।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যে ব্যাধিগুলো রয়েছে সেগুলো নির্মূল করতে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে মাদক নির্মূলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকরী একটি ব্যবস্থা। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং মুরব্বিদের নিয়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গঠন করা হবে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থার করে সামাজিক আন্দোলনের মাদক থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।
সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়ানো হলে ঢাকার উন্নয়ন কীভাবে করবেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি কোনো হোল্ডিং ট্যাক্স, দোকানের ট্যাক্স বাড়ানো হবে না। নতুন করে কর বাড়ানো হবে না। এগুলো আগে থেকেই অতিমাত্রায় বাড়ানো আছে। সুতরাং, নতুন করে কর বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। আমরা অনেক নাগরিক সেবা এখনো ঢাকাবাসীকে দিতে পারিনি। সেই সেবাগুলোর মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আমরা সেই সেবাগুলো দিতে পারলে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আহরণ অনেকাংশে বাড়াতে পারবো।
'আমাদের লক্ষ্য থাকবে আগামী দুই বছরে সিটি করপোরেশনকে নিজের পায়ে দাঁড় করানো। সিটি করপোরেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমরা অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। আমরা ঐতিহ্যের ঢাকাকে বিশ্বের দরবারে প্রস্ফুটিত করতে চাই। ফলে পর্যটকদের কাছ থেকেও রাজস্ব আহরণের সুযোগ রয়েছে। '
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বর্জ্য অপসারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সড়কে উন্মুক্ত স্থানে আবর্জনা বরদাস্ত করা হবে না। আমরা দেখি নর্দমা পরিষ্কার করা হয় সনাতন পদ্ধতিতে। সনাতন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফলে রাস্তার উপরেই নর্দমার আবর্জনা ফেলে রাখা হয়। এটা আর বরদাস্ত করা হবে না। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ নির্মাণের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। আমরা প্লাস্টিক দূষণে দূষিত। প্রতিদিনের ব্যবহৃত প্লাস্টিক প্রতিদিনই ধ্বংস করার ব্যবস্থা করা হবে।
ঢাকাবাসীকে উদ্দেশ্য করে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, এই ঢাকা আমাদের সবার প্রাণের ঢাকা। আমি আশা করি ঢাকাবাসী আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নত ঢাকা গড়ে তুলতে সুযোগ দেবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসনে আমু, মোস্তফা হোসেন পল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে সামস পরশ, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফিসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
আরকেআর/এএ