বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর মতিঝিলের গোপীবাগে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের ১৪৯ নম্বর কেন্দ্রের নারী-২ ভোটকেন্দ্রে মক ভোট দেওয়ার পর বাংলানিউজকে তিনি একথা জানান।
রাবেয়া পারভীন আরও বলেন, গত নির্বাচনে আমি ভোট দিতে এসে দেখি আমার ভোট অন্য কেউ দিয়ে ফেলেছেন।
সরেজমিনে এই কেন্দ্রে দেখা যায়, স্মার্ট আইডি কার্ড, আঙুলের ছাপ অথবা ভোটারদের ক্রমিক নম্বর ছাড়া ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই তিনটির যেকোনো একটি ইভিএমে প্রবেশ করলেই ব্যালট পেপার ওপেন হবে। এরপর ভোটার তার পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কোনো প্রার্থী ভোট দিলে, তিনি যদি আবার তার স্মার্টকার্ড, ভোটার ক্রমিক নম্বর অথবা আঙুলের ছাপ ইভিএমে প্রবেশ করালে তিনি যে ইতোপূর্বে ভোট দিয়েছেন, সেই তথ্য কম্পিউটারের মনিটরে দেখা যায়।
একই সঙ্গে ইভিএমের কম্পিউটারের মনিটরে অত্র ভোটকেন্দ্রে কতজন ভোটার রয়েছেন, কতজন ভোট দিয়েছেন এবং কতজন ভোট দেননি যাবতীয় তথ্য দেখা যাবে।
ইভিএম প্রসঙ্গে এ কেন্দ্রের দায়িত্বরত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কাজী নয়ন মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যাচাই করে দেখেছি ইভিএমে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি। কে ভোট দিতে এলে তার ফিঙ্গার যদি না মেলে তাহলে তার ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইভিএমে জাল ভোট বা অতিরিক্ত ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য তিনটি বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। ন্যাশনাল আইডি কার্ড, আঙুলের ছাপ ছাড়াও ভোটার ক্রমিক নম্বর দিয়ে একজন ভোটার ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন। তিনটার যেকোনো একটি মিললেই একজন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। তিনটির একটিও যদি কোনো ভোটারের না মেলে তাহলে সে ক্ষেত্রে করার কিছুই নেই, তিনি ভোট দিতে পারবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
আরকেআর/এএ