বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, আজকে সভার বিষয়ে তারা (আ’লীগ) আগে আমাদের কিছু জানায়নি।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, বিদেশী পর্যবেক্ষকদের জন্য বিধিতে আছে, তারা যেতে পারবে, তাদের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা তো বাইরে থেকে আসেনি, তারা এখানকার, বিভিন্ন দূতাবাসে যারা আছেন তারাও এখানকার। তারা তালিকা দিলে আমরা পরীক্ষা করে তাদের অনুমতি দিতে পারি। সে অনুমতি আছে, গাজীপুরসহ বিভিন্ন সিটি নির্বাচনেও তারা পর্যবেক্ষণ করেছে। তাদের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই থাকবে। তারা যেন বিধির বাইরে কোনো রকম আচরণ করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা থাকবে।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সিইসি বলেন, যে কোনো সময়ের চেয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে। প্রার্থীরা তাদের প্রচার চালাচ্ছেন। কোনো বাধা দেখি না। আমাদের কাছে ধরপাকড়ের তথ্য নেই। কোনো ক্রিমিনাল, সন্ত্রাসী, বোমাবাজ যদি এখানে আসে তাদের পুলিশ নজরদারিতে রাখবে এবং ধরবে। কোনো বাসাবাড়িতে তল্লাশি বা রেইড করা হচ্ছে না। অন্যান্য জায়গায় যদি বাইরে থেকে এসে অপরাধীরা থাকে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি। প্রয়জন ছাড়া কেউ যেন ঢাকায় না আসে। ভোটকেন্দ্রের চারপাশে যেন অপ্রয়োজনীয় জটলা না থাকে সে ব্যাপারেও বলা আছে। কেউ যেন ভোট দিয়ে ভোটকেন্দ্রে না থাকে,এটাই আমাদের চাওয়া।
এ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কোনো চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন, না এমনটি মনে হয়নি। তারা আমাদের অবস্থান জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের বুঝিয়েছি, তারা সন্তুষ্ট হয়ে এখান থেকে চলে গেছে। আমাদের প্রস্তুতিতে তারা খুশি এ কথা বলেছে।
নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের জন্য ইসি সহায়ক শক্তি, বিএনপির এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এ অভিযোগ মোটেই সত্য না। আমরা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গীতে যে দায়িত্ব, আইনকানুন মেনে তা পালন করে যাচ্ছি। আমরা কারো সহায়ক না, কারো পক্ষে বা বিপক্ষে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
ইইউডি/এইচজে