বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিজ ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে আসেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার, চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
এসময় নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আতিকুল ইসলাম। প্রশ্ন করেন লাইভে থাকা অতিথিরাও। লাইভের শুরুর দিকেই নির্বাচনী প্রচারণায় শব্দ দূষণের জন্য নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চান আতিকুল। একই সঙ্গে তিনি ডিজিটাল প্রচারণার দিকে ভবিষ্যতে সবাইকে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।
সিটি কর্পোরেশনে জবাবদিহিতা চান উল্লেখ করে আতিকুল বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ করে সিটি কর্পোরেশনে জবাবদিহিতা আনতে চাই আমি। এজন্য একটি অ্যাপ ‘সবার ঢাকা’ চালু করতে যাচ্ছি আমরা। সেখানে নগরবাসীরা তাদের সমস্যার কথা জানালে সঙ্গে সঙ্গেই ওই বিষয়ে যিনি দায়িত্বে থাকবেন তার কাছে মেসেজ চলে যাবে। তিনি যদি নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন না করেন তাহলে, মেয়র অফিসে ড্যাশবোর্ডে ‘পাগলা ঘণ্টা’ বেজে উঠবে। তখন সেই কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। একই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ধরনের কর অনলাইনে পরিশোধের ব্যবস্থা করবো। এতে করে নাগরিকদের ভোগান্তি কমবে, সিটি কর্পোরেশনের জবাবদিহিতা বাড়বে। শহরের নিরাপত্তায় ৪২ হাজার স্মার্ট বাতি স্থাপন করা হবে বলেও জানান আতিকুল।
তিনি বলেন, নতুন ওয়ার্ডগুলোর বাইরে পুরনো ওয়ার্ডগুলোতে শহরজুড়ে ৪২ হাজার স্মার্ট বাতি স্থাপন করা যাবে। এসব বাতি সুইচ টিপে চালু বা বন্ধ করা লাগবে না। নিজে থেকেই প্রয়োজন মতো জ্বলবে ও নিভবে। পুরো শহরকে করা হবে ‘স্মার্ট’ শহর। এখানে ড্রেন বা ম্যানহোলের ঢাকনার সঙ্গে সেন্সর লাগানো হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে সিটি কর্পোরেশন সহজেই তা জেনে যাবে।
আতিকুল কথা বলেন যানজট নিরসন নিয়েও। এজন্য বাস রুট রেশনালাইজেশন এ প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রস্তাবিত প্রকল্প অচিরেই বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও নিজের নির্বাচনী ইশতেহারের বিভিন্ন ওয়াদা ‘শর্ট টার্ম’, ‘মিড টার্ম’ এবং ‘লঙ টার্ম’ পলিসির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে বলেও আশ্বাস দেন আতিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এসএইচএস/এএটি