শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দলের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের বক্তব্য তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ভোটার উপস্থিতি কম প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন গত কয়েকদিন ধরে যেসব কথাবার্তা বলছেন, আজও ভোট দিয়ে বলেছেন, আহত বা নিহত যাই হই ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করবো না। তার কথা দাঙ্গাবাজ, উস্কানিমূলক কথা। এ ধরনের কথাবার্তা এবং বিএনপির আচরন মানুষকে একটু ভাবিয়ে তুলেছে, একথা অস্বীকার করা যাবে না। তবে মানুষ এখন দেখছে যে, শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে।
এছাড়া বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা আমরা দেখেছি সেটা তো আছেই, তারপর রয়েছে ভোটারদের অলসতা এবং শীতের বিষয়। সব মিলিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা দ্বিধা ছিল। এর একটা প্রভাব পড়েছে ভোটের ওপর। যার ফলে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম মনে হচ্ছে। কিন্তু এখন সেটা কেটে যাচ্ছে। মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে। সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের পরিবেশ চমৎকার। ভালো মানুষ ভালোভাবেই ভোট দিচ্ছে। ’
আমরা অনুরোধ জানাবো, ঢাকার ভোটাররা যেন বেরিয়ে এসে তাদের সুচিন্তিত মতামত দিয়ে ভোটের মাধ্যমে মহানগর পিতা নির্বাচিত করেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আসলে ওনারা (বিএনপি)সাংগঠনিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। সাংগঠনিক সক্ষমতা হারিয়েছে। সক্ষমতা হারানোর কারণে সব কেন্দ্রে হয়তো এজেন্ট দিতে পারেনি। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।
বিএনপির প্রার্থী ইশরাক নিজে গোপীবাগ শহীদ শাহজাহান প্রাথমিক বিদ্যালয়্রে যখন ভোট দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে তাদের পোলিং এজেন্ট ছিলো না। অথচ তারা বায়বীয় কায়দায় মিথ্যাচার করছে যে, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) থাকলে পোলিং এজেন্টের দরকার নেই। ইভিএম এমন একটি বিজ্ঞানসম্মত ভোট ব্যবস্থা যে ইভিএম মেশিন থাকলে কোনো পোলিং এজেন্ট দরকার নেই। কারণ ইভিএম মেশিন নিজেই পাহারা দেয়। আঙ্গুলের ছাপ না দেওয়া পর্যন্ত কেউই ভোট দিতে পারবেন না। কাজেই এ মেশিনই পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করে।
তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইসি দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। কূটনীতিক মিশনগুলো থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পাশপাশি দেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক নিয়োগে আন্তর্জাতিক বিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরিরত বাংলাদেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে মনোনীত করে কূটনৈতিক মিশনগুলো সঠিক কাজ করেনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এসকে/ওএইচ/