শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিতে গিয়ে এ অভিজ্ঞতার শিকার হন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে দায়িত্বরত নির্বাচনী কর্মকর্তা নিজ ক্ষমতাবলে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
ভোটদান শেষে বাংলানিউজকে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাকে ভোট দিতে কেউ বাধা দেয়নি। তবে ভোটকেন্দ্রে একটি নির্দিষ্ট দলের এজেন্ট ছাড়া আর কারো এজেন্ট নেই। আমি কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের জিজ্ঞাসা করি, অন্যদের পোলিং এজেন্ট কই? তারা আমাকে বলে, একটু আগেই ছিল, হয়তো আশেপাশে আছে। এছাড়া কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও অনেক কম বলে জানান জাফরুল্লাহ।
ইভিএমে ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, ইভিএম আমাকে আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করতে পারলো না। আমার যখন আঙুলের ছাপ মিললো না, তখন আমার ভোট আরেকজন দিয়ে দিতে পারে। আমার নাম যে শিটে ছিল, সেখানে আরও ২৮ জনের নাম ছিল। আমিসহ ওই শিটের ৪ জন ভোট দিয়েছে। আমার আঙুলের ছাপ না মেলায় নির্বাচনী কর্মকর্তারা আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য ইভিএম অন করে দিল। সুতরাং যারা ভোট দিতে আসবে না তাদের ভোটতো অন্য কেউ দিয়ে দিতে পারে। ইভিএম মেশিনের আরও আধুনিকায়ন করা দরকার।
এর আগে রাজধানীর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে গিয়ে ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ মেলেনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদারও। পরে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে ভোট দেন।
আরও পড়ুন>>> আঙুলের ছাপ মেলেনি সিইসির! ভোট দিলেন এনআইডি দিয়ে
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
আরকেআর/এইচজে