ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনী পোস্টার নামানোর কাজ চলছে, জানালো সিটি করপোরেশন 

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
নির্বাচনী পোস্টার নামানোর কাজ চলছে, জানালো সিটি করপোরেশন 

ঢাকা: প্রচার-প্রচারণা, ভোট গ্রহণ ও ফলাফলের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সব আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু এখনও অনেক রাজধানীর এলাকাতেই আকাশ আড়াল করে ঝুলে আছে নির্বাচনী পোস্টার। দেয়ালগুলোও পোস্টারে পোস্টারে সয়লাব। এ নিয়ে আপত্তি অনেক রাজধানীবাসীর। তবে এরই মাঝে দুই সিটি করপোরেশন পোস্টার সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে। 

গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ পর্ব। এর ২ দিন পর আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দুই সিটির বিভিন্ন এলাকায় লাখ লাখ পোস্টার ঝুলে থাকতে দেখা যায়।

অনেক জায়গাতেই ছেঁড়া পোস্টার সড়ক ও ফুটপাত দখল করে আছে। এতে করে বিপাকে পড়ছেন পথচারী থেকে শুরু করে যানবাহন চালকরা। এমনকি লেমিনেটিং পোস্টার সরাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও এখনও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
 
রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুর, বনানী, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, বনশ্রী এবং দক্ষিণের আওতাধীন গুলিস্তান, গোপীবাগ, গেণ্ডারিয়া, লালবাগ, মতিঝিলসহ দুই সিটির বিভিন্ন এলাকায় এখনও দেখা যাচ্ছে নির্বাচনী বর্জ্যের আলামত।
 
নগরবাসীরা বলছেন, যারা নগরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেন, তাদেরই উচিত এখন এগুলো পরিষ্কার করা।  

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা শিক্ষার্থী হালিমা ইয়াসমিন মুক্তা বাংলানিউজকে বলেন, বুঝলাম নির্বাচনের প্রয়োজনে এগুলো লাগানো হয়েছে, কিন্তু যারা লাগিয়েছে এখন তাদেরই উচিত এগুলো সরানো। জয়ী এবং পরাজিত সবারই দায়িত্ব এটা। সিটি করপোরেশন বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থার এটা করা উচিত হবে না। সিটি করপোরেশন যেহেতু জনগণের সংস্থা, তারা এটা করলে দাঁড়ায় যে জনগণই এটা করলো। তাহলে যারা এসব বর্জ্য তৈরি করলো তাদের দায়িত্ব কোথায়? 
 
শহরময় নির্বাচনী পোস্টারের ছড়াছড়ি নিয়ে কথা বলতে গেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা এস এম শফিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এই কাজটা সিটি করপোরেশনের না, প্রার্থীদের। নির্বাচনী আচরণ বিধিতেও তাই আছে। তবুও প্রতিবারই সিটি করপোরেশনকেই এ কাজ করতে হয়। এবারও আমরাই করছি। ইতোমধ্যেই পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
 
অবশ্য সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলামকে নির্বাচনী পোস্টার সরাতে দেখা যায়। এদিন বিকেলে বনানীর ১৪ নম্বর সড়কে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পোস্টার সরানোর কাজ করেন আতিক।
 
এসময় তিনি বলেন, আজ আমি নিজে পোস্টার সরাতে নেমেছি। তবে গতকাল থেকেই কিন্তু আমার লোকজন নিয়ে পোস্টার সরানোর কাজ শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের দুটি অঙ্গসংগঠনও গতকাল থেকেই পোস্টার সরাতে শুরু করেছে। সিটি করপোরেশনও তাদের মতো করে সরাচ্ছে। আশা করছি কাল বা পরশু অন্তত উত্তর ঢাকা পুরোপুরিভাবে পোস্টার মুক্ত হবে। গতকালও বলেছি, এসব পোস্টার রিসাইকেল করা হবে। পলিথিনযুক্ত পোস্টারগুলোও রিসাইকেল করা হবে।
 
এদিকে নিজ উদ্যোগে পোস্টার সরাবেন কি না জানতে সদ্য বিগত সিটি নির্বাচনে আতিকের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শহর জুড়ে আমার পোস্টার তো নেই বলতে গেলে। সব তো নির্বাচনের আগে তারা (আতিক সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী) ছিঁড়ে ফেলেছে। যতটুকু আছে সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছে আমার নেতাকর্মীরা।  

এদিকে বেশকিছু সামাজিক সংগঠনও নিজেদের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পোস্টার খুলে নিচ্ছে। ‘এক টাকার আহার’ নামক একটি সংগঠন এসব পোস্টার থেকে ছিন্নমূল শিশুদের জন্য লেখার কাগজ বানাবে বলে জানায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এসএইচএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।