রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন বাতিলের কোনো সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, ‘ইভিএমে যা ভোট প্রকৃতপক্ষে দিয়েছে, ঠিক সেটাই পড়েছে। কারণ এখানে অতিরিক্ত ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। আঙুলের ছাপ ও আইডি কার্ড ছাড়া যেহেতু ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নাই, ভোটারকে অবশ্যই ফিজিক্যালি যেতে হয়েছে। ভোটার কেন্দ্রে না গেলে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। ’
ভোটার সংখ্যার চেয়ে ভোট বেশি পড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, ‘একজন ভোট দিতে যান নাই, অথচ তার ভোটটি পড়েছে – এরকম একটা দেখাক। তাহলে বলা যাবে, ভোটাররা আসেননি, অথচ ভোট পড়েছে। ইভিএম সিস্টেমে ভোটার না এলে ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইভিএমের যে কারিগরি দিক রয়েছে, তাতে এটা সম্ভব না। ’
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এক শতাংশের বেশি ভোট নিজের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করার অভিযোগের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশনের কাছে এ ধরনের কোনো অনুরোধ আসে নাই। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসে নাই। তবে করতে পারে, দুইটা-একটা কেন্দ্রে হয়তো করতে পারে। এখানে ভোটার আছে ৪০০, সেখানে ৪ জনের বেশির আঙুলের ছাপ মিলছে না।
‘এ রকম অভিযোগ এক হাজার কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্র থেকে এমন অভিযোগ এসেছে বলে আমি শুনিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ১ শতাংশের বেশি অনুরোধ এসেছে কি না? তারা বলেছেন, আসেনি। ’
ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে ছিল কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ বলতে কী বোঝাচ্ছেন, জানি না। নির্বাচন করার জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার, তার পরিবেশ একেবারে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ ছিল। বাকি পয়েন্ট জিরো জিরো নিয়ে যদি আপনারা কিছু বলতে পারেন। তবে মারামারির কিছু ঘটনা আমরা পরে শুনেছি। নির্বাচনের পরে শুনেছি যে, একই দলের মধ্যে হয়তো বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। তারা হয়তো হাতাহাতি করেছে। একেবারে যে ওখানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া, ও রকম মারামারি কোথাও হয়নি। ’
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৪ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ হয়েছে। তবে ঢাকা দক্ষিণের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের ফল স্থগিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
ইইউডি/এমএ