আগামী ২১ মার্চ গাইবাবান্ধা-৩ আসন, ঢাকা-১০ আসন ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে তিন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।
অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এ আসনটিতে যেসব কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল, উপ-নির্বাচনেও সেসব ভোটকেন্দ্রই রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। তবে কোনো ভোটকেন্দ্র কোনো প্রার্থীর পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবাধীন হলে তা কমিশনকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে। আবার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তথ্যও নির্বাচন কমিশনকে অবিহত করতে হবে। আর এ ধরনের ভোটকেন্দ্রে অভিজ্ঞ প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্যানেল প্রস্তুত করা হয়, যাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না হয়। কেননা, বিভিন্ন কারণে অনেককেই তালিকা থেকে বাদ দিতে হয়। অনেকেই আবার নানান অসুবিধার কারণে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকেই বেশি নিয়োগ করা হবে ঢাকার উপ-নির্বাচনে। কেননা, ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়, ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই। ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ দিন। প্রতীক বরাদ্দ ১ মার্চ আর ভোটগ্রহণ হবে ২১ মার্চ।
গাইবাবান্ধা-৩ আসনটি গত ২৭ ডিসেম্বর, ঢাকা-১০ আসনটি ২৯ ডিসেম্বর, ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ শূন্য হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ারর পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সে অনুযায়ী, গাইবান্ধা-৩ আসনে আগামী ২৫ মার্চ, ঢাকা-১০ আসনে ২৭ মার্চ ও বাগেরহাট-৪ আসনে ৮ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
ইইউডি/এসএইচ