আগামী ২১ মার্চ গাইবাবান্ধা-৩ আসন, ঢাকা-১০ আসন ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন হবে।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে একটি পরিপত্র জারি করে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ অনুযায়ী, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতি ছাড়া কাউকে কর্মস্থল থেকে বদলি করা যাবে না।
এছাড়াও নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনের সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের অবশ্য কর্তব্য। নির্বাচনী সময়সূচি জারির পর নির্বাচনী কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইন ১৯৯১ এর ৪(৩) ধারা অনুসারে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী স্বীয় চাকরির অতিরিক্ত হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে নিয়োজিত আছেন বলে বিবেচিত হবে। আর কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো দায়িত্ব পালনের বিষয়ে বাধা দিতে বা বিরত রাখতে পারবে না।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়, ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই। ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ দিন। প্রতীক বরাদ্দ ১ মার্চ আর ভোটগ্রহণ হবে ২১ মার্চ।
গাইবাবান্ধা-৩ আসনটি গত ২৭ ডিসেম্বর, ঢাকা-১০ আসনটি ২৯ ডিসেম্বর, ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ শূন্য হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সে অনুযায়ী, গাইবান্ধা-৩ আসনে আগামী ২৫ মার্চ, ঢাকা-১০ আসনে ২৭ মার্চ ও বাগেরহাট-৪ আসনে ৮ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
ইইউডি/এসএইচ