ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, ভোটের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ভোটের উপকরণ।
ঢাকা-১০ আসনটি ২৯ ডিসেম্বর, গাইবাবান্ধা-৩ আসনটি গত ২৭ ডিসেম্বর, ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ শূন্য হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সে অনুযায়ী, গাইবান্ধা-৩ আসনে আগামী ২৫ মার্চ, ঢাকা-১০ আসনে ২৭ মার্চ ও বাগেরহাট-৪ আসনে ৮ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ঢাকা-১০ আসন:
নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম ‘নৌকা, বিএনপি প্রার্থী শেখ রবিউল আলম ‘ধানের শীর্ষ’, জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান ‘লাঙল’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান চৌধুরী ‘ডাব’, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী ‘হারিকেন’ ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) আব্দুর রহীম ‘বাঘ’ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন।
এ আসনের ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। নির্বাচনে ১১৭টি ভোটকেন্দ্রে ৭৭৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ আসনটি ধানমন্ডি ও লালবাগ থানা নিয়ে গঠিত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪-১৮ নম্বর ওয়ার্ড ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড এই আসনের অন্তর্গত।
গাইবান্ধা-৩ আসন:
এ আসনের চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের উম্মে কুলছুম স্মৃতি ‘নৌকা’, বিএনপির অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক ‘ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির মইনুর রাব্বী চৌধুরী ‘লাঙল’, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি ‘মশাল’ প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াই করছেন।
এ আসনটি সাইদুল্ল্যাহপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত। ৪ লাখ ৮ হাজার ৭৪ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ১৩২টি ভোটকেন্দ্রের ৭৮৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।
বাগেরহাট-৪:
এ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. আমিরুল আলম মিলন ‘নৌকা’ ও জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী ‘লাঙল’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬২৯টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
***চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন স্থগিত নিয়ে বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
ইইউডি/এএ