শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ঢাকা-১০ আসনের ১১৭টি ভোট কেন্দ্রের ৭৭৬টি ভোটকক্ষে এ ভোটগ্রহণ চলছে। এ নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে শতভাগ ভোট নেওয়ায় ভোটারদের বাধ্য হয়ে একই মেশিন স্পর্শ করতে হচ্ছে।
এদিন নির্বাচনী এলাকার কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে এ চিত্রই দেখা যায়। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটকক্ষের বাইরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত রাখা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে হেক্সিসল।
ধানমন্ডি ২ নম্বরের ধানমন্ডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়া হাফিজ আল ফারুকও যথারীতি হেক্সিসলে হাত পরিষ্কার করে ভোট দেন। হাফিজ বলেন, এই উদ্যোগটা ভালো লেগেছে। আমি কেন্দ্রে প্রবেশ করার আগে আমাকে হেক্সিসল দেওয়া হলো হাত পরিষ্কার করার জন্য। বের হওয়ার পরেও হ্যাক্সিসল দিয়ে হাত পরিষ্কার করেছি।
এদিকে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও করোনা সতর্কতা অবলম্বন করে দায়িত্ব পালন করছেন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হ্যান্ড-গ্লাভস ও মাস্ক পরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
করোনা প্রতিরাধের প্রস্তুতি নিয়ে ধানমন্ডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ মনসুর আলী বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, আমরা সেসব মানার চেষ্টা করছি। প্রতিটি কক্ষের বাইরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আছে। হাত পরিষ্কার করে তবেই কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। আবার ভোট দিয়েও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করবেন ভোটার। একই সঙ্গে আমাদের যারা কর্মী তারাও সাবধানতা অবলম্বন করছেন। প্রত্যেকে হ্যান্ড-গ্লাভস ও ফেস মাস্ক পরে আছেন। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য নিরাপত্তার মধ্যেই ভোট গ্রহণ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর করোনা আতঙ্কের মধ্যেও ভোটগ্রহণ চলবে বলে জানান। করোনা সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসেবে ভোটারদের হাত ধুয়ে ভোট দিতে এবং ভোট দিয়ে পুনরায় হাত ধোওয়ার আহ্বান জানান তিনি। দেশে করোনার হুমকির মুখে তার ওই বক্তব্য ব্যাপক সমালোচিত হয়।
আরও পড়ুন>>> নির্বাচন হবে, হাত ধুয়ে ভোট দেবেন: ইসি সচিব
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এসএইচএস/এইচজে