রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শনিবার (২১ মার্চ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের আমলে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হলে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট পড়ে।
পড়ুন>> দেশে সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত
ব্যালট পেপারে জাল ভোট ঠেকাতে পারছেন না কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনাকে ধরতে হবে। জাল ভোট ধরে যদি কমিশনের কাছে অভিযোগ না করেন বা না ধরিয়ে দেন, জাল হয়েছে কি না, কীভাবে বুঝবো। কারণ, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তো সবাইকে চেনেন না। ’
মো. আলমগীর বলেন, উপ-নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে বিকেল ৩টা নাগাদ ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর গাইবান্ধা-৩ আসনে ৪০ শতাংশের উপরে এবং বাগেরহাট-৪ আসনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
ইভিএমে এতো কম ভোট পড়ার কারণে নির্বাচন কমিশন বিব্রত কিনা- এ প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব বলেন, আমরা বিব্রত নই। কেননা আমাদের সব আয়োজন ছিল। যদি বলেন, সেটা ছিল না তাহলে আমাদের বিব্রত হওয়ার বিষয়। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া ভোটারের দায়িত্ব।
কম ভোট পড়ায় ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হলো কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক বলতে কী বোঝানো হয়, জানি না। যারা প্রার্থী তারা যদি অংশগ্রহণ করেন, তাহলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন কি-না, সেটা তাদের বিষয়। ভোটারদের বাধ্য করা যাবে না। আইনেও নাই। বিধানেও নাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
ইইউডি/এমএ