মঙ্গলবার (২ জুন) এক প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি সচিব মো. আলমগীর এ তথ্য জানান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় হতে গত ১২ এপ্রিল জারিকৃত ও একই তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে পাবনা-৪ আসনটি শূন্য হয়েছে।
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩-এর দফা (৪)-এর শর্তানুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, দেশে করোনা ভাইরাসজনিত দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদ, অর্থাৎ সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উল্লিখিত শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না। ’
এ অবস্থায়, পাবনা-৪ শূন্য আসনের নির্বাচন নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব না হওয়ায় তা পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ জুন থেকে পরবর্তী নব্বই দিন যোগ করলে সময়সীমা দাঁড়ায় ২৮ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনের সময়সূচি পরবর্তী সময়ে ঘোষণা করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা না গেলে সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে ইসিকে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
পাবনা-৪ আসনের আগে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনও শূন্য হয়। গত ২৯ মার্চ ওই দুই আসনে উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তাও স্থগিত করে ইসি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যেই আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনে নির্বাচন করার সময়সীমা পার হয়ে গেছে। দৈব-দুর্বিপাকজনিত বাড়তি নব্বই দিন সময় বর্তমানে সিইসির হাতে আছে। অর্থাৎ আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ১৮০ দিন সময়ও জুলাই মাসে শেষ হয়ে যাবে। হিসেব অনুসারে বগুড়া-১ আসনে ১৫ জুলাই ও যশোর-৬ আসনে ১৮ জুলাই ভোটের সময় শেষ হবে। এর আগে যদিনা করোনার প্রকোপ দূর হয়, তবে এ দুই আসনে ভোটের ব্যাপারেও সুপ্রিম কোর্ট থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
ইইউডি/এইচজে