গত ৬ মে বার্ধক্যজনিত কারণে হাবিবুর রহমান মোল্লা মৃত্যুবরণ করেন। ফলে ওইদিন আসনটি শূন্য হয়েছে বলে এরই মধ্যে গেজেট প্রকাশ করেছে সংসদ সচিবালয়।
সংবিধান অনুযায়ী, কোনো আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে ওই আসনের ভোটগ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার কথা। কিন্তু করোনার কারণে সব নির্বাচন স্থগিত রেখেছে ইসি। এক্ষেত্রে দৈব-দুর্বিপাক জনিত কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হাতে সংরক্ষিত পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করবে সংস্থাটি।
নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি সচিব মো. আলমগীর। এতে বলা হয়েছে, ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। তাই পরবর্তী নব্বই দিন অর্থাৎ ১ নভেম্বরের মধ্যে এ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যদি পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যেও ভোট করা সম্ভব না হয়, তবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে ভোটের পরবর্তী সময় নির্ধারণ করা হবে।
এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-৪, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনও মহামারির কারণে স্থগিত রেখেছে ইসি। নির্দিষ্ট সময়ের ভোট করতে না পারলে এসব নির্বাচন নিয়েও সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যা নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/