ইসি সচিব মো. আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আমাদের ভোট করতে হচ্ছে। কেননা, আসন দু’টিতে ভোট করার সময় শেষ হবে ১৫ জুলাই ও ১৮ জুলাই।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রচার চালাতে হবে। প্রার্থী বা প্রার্থী সমর্থকরা মাইকিং, পোস্টারে প্রচার চালাতে পারবেন। তবে গণসংযোগ করতে হবে শারীরিক দূরত্ব মেনে। কোনোভাবে সভা, জনসভা, পথসভা করা যাবে না। ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার চালানো যাবে।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রার্থীদের করণীয় সম্পর্কে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে- করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি আদেশ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রতিপালন করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ বিবেচনায় জনসমাগম পরিহার করে নির্বাচনী প্রচার প্রচার চালাতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে সভা, সমাবেশ, জমায়েত যতদূর সম্ভব পরিহার করতে হবে। এগুলোর বিকল্প হিসেবে আইনানুগ ও
বিধিসম্মত উপায়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক বা অনুরূপ মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো পন্থা বা পদ্ধতিতে নির্বাচনী প্রচার চালাতে হবে প্রার্থীদের।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে কর্মকর্তাদেরও বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। এগুলো হলো- নির্বাচনী দ্রব্যাদি ভোটকেন্দ্রে পাঠানোর জন্য অধিক সংখ্যক বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মালামাল বিতরণ করতে হবে, ফলাফল গ্রহণে একাধিক বুথ স্থাপন এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও ভোটে দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেলে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।
এছাড়ও প্রশিক্ষণের পরিবর্তে ম্যানুয়ালে দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করে ভোটগ্রহণ ও প্রাসঙ্গিক কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিতে হবে। ভোটগ্রহণ করতে হবে সরকারি আদেশ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা অনুযায়ী। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের লাইন করতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দিতে হবে শারীরিকভাবে অক্ষম ও অসুস্থ ব্যক্তিদের।
এই দুই আসনে ভোট করার কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। কিন্তু ভোটের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ করোনার কারণে ভোট স্থগিত করেছিল ইসি।
বগুড়া-১ আসন:
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর আসনটির উপ-নির্বাচনের বৈধ ছয় প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
প্রার্থী হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)।
গত ১৮ জানুয়ারি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এরপর শূন্য আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এ নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
যশোর-৬ আসন:
এ আসনে বৈধ তিন প্রার্থী প্রতীক পেয়েছিলেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক জয়ী হন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তিনি মারা যান। এর শূন্য আসবে নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি।
এ আসনে ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
ইইউডি/এএ