ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার সময় বাড়াবে ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার সময় বাড়াবে ইসি নির্বাচন কমিশন ভবন।

ঢাকা: নভেল করোনা ভাইরাসজনিত মহামারির কারণে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে দলগুলোকে অতিরিক্ত সময় দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে একমাস সময় বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নিবন্ধনের শর্ত মোতাবেক প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দলগুলোকে জমা দিতে হয়। কিন্তু এ বছর দলগুলোর তেমন সাড়া নেই।

করোনা মহামারির কারণে এমনটি হতে পারে বিধায় দলগুলোকে হিসাব জমা দেওয়ার আরো এক মাস সময় দেওয়ার কথা ভাবছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব রওশন আরা জানান, দু’টি দল ছাড়া আর কেউ সাড়া দেয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপির মতো বড় দলগুলো থেকেও কেউ যোগাযোগ করেননি। যেহেতু এবার করোনা মহামারি চলছে, তাই সময় একমাসের মতো বাড়তে পারে।

ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪১টি। সেই অনুযায়ী, ৩৯টি দল এখনো সাড়া দেয়নি। তারা সময় বাড়ানোর আবেদন বা হিসাব জমা দেওয়ার কোনোটাই করেনি। তবে এখনো আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার সময় আছে। হিসাব জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩১ জুলাই, সেদিন সরকারি ছুটি। আর ঈদের ছুটি ২ আগস্ট পর্যন্ত। তাই আইন অনুযায়ী, ৩ আগস্টও হিসাব জমা দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে এখনো ছয়দিন সময় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন রওশন আরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একেবারে শেষ দিনে হিসাব জমা দিয়েছিল। আর বিএনপি জমা দিয়েছিল সময় শেষ হওয়ার দু’দিন আগে। তার আগের দুই বছর বড় দলগুলোর আবদেনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়েছিল ইসি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেবল মাত্র জাতীয় পার্টি (জাপা) হিসাব জমা দিয়েছে। আর একটি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। জাপার দেওয়া হিসাব অনুয়ায়ী, দলটির আয় গতবারের চেয়ে কমেছে। অন্যদিকে ব্যয়ও বেড়েছে।

২০২০ সালে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালের (পঞ্জিকা বছর) দলটির আয় হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২২ হাজার ৫৪৫ টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা কম। আর ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭০ টাকা, যা গতবারের চেয়ে ৫৭ লাখ টাকা বেশি। বর্তমানে দলটির তহবিলে উদ্বৃত্ত আছে ১৯ লাখ টাকার মতো।

২০১৯ সালে আ’লীগ ও বিএনপির জমা দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ পঞ্জিকা বছরে আ’লীগের আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা। অর্থাৎ গতবছর দলটির তহবিলে ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮৭ টাকা উদ্বৃত্ত ছিল।

অন্যদিকে বিএনপির আয় হয়েছিল ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। অর্থাৎ তহবিলে উদ্বৃত্ত ছিল ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, পরপর তিন বছর কোনো দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে দলটির নিবন্ধন বাতিল করার বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।