ঢাকা: দেশের নির্বাচিত পৌরসভাগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় একযোগে ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগামী জানুয়ারির মধ্যে দুই শতাধিক এই স্থানীয় সরকারে ভোট করবে সংস্থাটি।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে জানান, আগামী অক্টোবরে দেশের পৌরসভাগুলোর নির্বাচনের জন্য সময় গণনা শুরু হবে। এক্ষেত্রে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যেই ভোট করতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে পৌরসভা রয়েছে ৩২৮টি। এরমধ্যে নির্বাচনের উপযোগী রয়েছে আগামী ২৫৬টি। তবে এই সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে। কেননা, মামলাসহ আইনি জটিলতার কারণে সংখ্যায় কিছুটা এদিক-সেদিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সর্বশেষ দেশের পৌরসভাগুলো একযোগে ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর। আর নির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিয়ে প্রথম সভা করেছিলেন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত পৌরসভার মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোট করতে হয় সময় শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে। এক্ষেত্রে অক্টোবর থেকেই সময় গণনা শুরু, এমনটি ধরে নিয়েই কাজ এগিয়ে নিচ্ছে ইসি।
ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি যদি বর্তমানের মতো থাকে, তবে জানুয়ারির মধ্যেই ভোট হবে। আর যদি এর চেয়ে অবনতি হয়, তবে ভোট পেছাবে। এছাড়া একযোগে হবে, না কি কয়েক দফায় হবে, সে সিদ্ধান্ত এখানো হয়নি। তবে গতবার একযোগেই হয়েছিল।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন করা যাবে এমন পৌরসভাগুলোর নাম ও লিস্ট তৈরির কাজ চলছে। সময় ঘনিয়ে এলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া কোনো পৌরসভায় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা আছে কি না, সে বিষয়েও মতামত চাওয়া হবে। তবে সেটা আগামী অক্টোবরের দিকে।
২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৭২ শতাংশ। আর প্রদত্ত ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৫২ দশমিক ২৯ শতাংশ, বিএনপি ২৮ দশমিক ১৬ শতাংশ ও জাতীয় পার্টি ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছিলেন ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোট।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
ইইউডি/এনটি