ঢাকা: পর্যায়ক্রমে দেশের সব নাগরিকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তুলে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় ইসি ১৬ বছর বা এর বেশি বয়সীদের এনআইডি দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।
ইসির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে শূন্য বছর থেকে সবাইকেই এনআইডি দেব। বর্তমানে ১৬ বছর ও এর চেয়ে বেশি বয়সীরা পাচ্ছে। এরপর ১০ বছর বয়সীদেরও দেওয়া হবে। তবে ১৮ বছরের নিচের বয়সীরা কেবল লেমিনেটিং করা এনআইডি পাবে।
১৮ বছর পূর্ণ হলে যখন তারা ভোটার হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন, তখনই কেবল স্মার্টকার্ড পাবেন। ১০ বছর বয়সীদের এনআইডি দেওয়ার জন্য আমরা একটি সিস্টেম ডেভেলপ করছি। শিগগিরই এ কার্যক্রম চালু করা হবে।
বর্তমানে দেশে ভোটার রয়েছেন ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন।
ইসির এনআইডি অনুবিভাগের কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট মোহাম্মদ শফিক জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৬ কোটি ১ লাখ স্মার্টকার্ড উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। মোট বিতরণ হয়েছে ৫ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার স্মার্টকার্ড। এ হিসেবে দেশের অর্ধেক সংখ্যক ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ১ কোটি ২ লাখ ফাঁকা কার্ডে তথ্য সন্নিবেশ করার কাজ চলছে। এসব কার্ড অর্থাৎ ৭ কোটি ৩ লাখ কার্ড ফরাসি কোম্পানির কাছ থেকে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অবশিষ্ট ৩ কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি কার্ড দেশেই উৎপাদন ও বিতরণে যেতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেন। যার ভিত্তিতে পরে স্মার্টকার্ডের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
২০১১ সালের বিশ্বব্যাংক এতে অর্থায়ন করলে নানা প্রক্রিয়া শেষে কার্ড উৎপাদনের জন্য ফরাসি কোম্পানি অবার্থার টেকনোলজিজ নামের এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০১৫ সালে চুক্তি করে ইসি। এতে তৎকালীন ৯ কোটি ভোটারকে স্মার্টকার্ড সরবরাহ করার জন্য চুক্তি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ১৮ মাসের চুক্তির সময় অনুযায়ী কার্ড দিতে পারেনি। ফলে এ কার্ডে নাগরিকের তথ্য ইনপুট দিয়ে বিতরণে যেতেও ইসির বিলম্ব হয়। যে কারণে সেই ৯ কোটি ভোটারকে এখনো কার্ড দিতে পারেনি সংস্থাটি। বর্তমানে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ইসি স্মার্টকার্ড তৈরি করিয়ে নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২০
ইইউডি/এসআই