ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সাবরিনার এনআইডি জালিয়াতি, সুপারিশকারীকেও ধরবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০
সাবরিনার এনআইডি জালিয়াতি, সুপারিশকারীকেও ধরবে ইসি

ঢাকা: ‘জেকেজি হেল্থকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাকে (ডা. সাবরীনা শারমিন হোসেন) দ্বৈত ভোটার হওয়ার জন্য সুপারিশকারী প্রভাব খাটালে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেননা, আইন সবার জন্য সমান।

’ নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।  

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সুপারিশের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ভিআইপিরা তো তদবির করবেনই। ভিআইপিরা তো জেনে, না জেনে তদবির করেন। অনেক সময় তাদের কাছে অনেকে এনআইডি চান। কিন্তু এনআইডিটা যে উনি নিয়ে কি কাজে লাগাবেন সেটা তো ওই ভিআইপিরা জানেন না। এজন্য যারা সচেতন, তারা এনআইডি দেওয়ার বিষয়ে বেশ সর্তক থাকেন। যে কেউ এনআইডি চাইলেই দেন না।

ইসি সচিব বলেন, যদি কেউ অন্যায়ভাবে চাপ-প্রয়োগ করে তদবির করেন, সেটা অন্যায়। এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন অনুযায়ী উনিও একজন আসামি হবেন। তিনি যদি প্রভাব খাটিয়ে অন্যায় করেন। আর যদি দেখা যায় উনি প্রভাব খাটান নাই, উনার রেফারেন্সে এসেছেন। এক্ষেত্রে তদন্ত করলে বের হবে উনি প্রভাব খাটিয়েছেন কিনা।

ইসি সচিব আরও বলেন, আইন সবার ক্ষেত্রে সমান। তিনি প্রভাবশালী হোক আর না হোক।

সাবরিনার দ্বৈত ভোটার হওয়া বা এনআইডি জালিয়াতির ক্ষেত্রে মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান রেফারেন্স করেছিলেন বিষয়টি নিয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, একটা কমিটি করে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আমরা বুঝতে পারব।

তিনি বলেন, একটি গণমাধ্যমের নিউজে দেখালাম যে, সাবরিনার আবেদনে সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের একটি কার্ড পাওয়া গেছে। আসলে কার্ড কি উনার কাছে চেয়েছিল বলে দিয়েছে, না কি; সেটা তদন্ত না হলে তো বলা যাচ্ছে না।

ড. মিজানুর রহমানে প্রভাবের খাটানোর প্রমাণ মিললে কি হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন তো সবার জন্য সমান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসি এনআইডি বিভাগে ৯৯ শতাংশ শুদ্ধ আছে। যারা খারাপ কাজ করেন, তারা অনেক কিছুই করেন। অপরাধীরা তো নিরাপদ থাকার জন্য যত রকম কাজ করার যায় তাই করেন।

জালিয়াতি বন্ধ করতে না পারায় ইসি কি ব্যর্থ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না ব্যর্থ নয়। ব্যর্থ বলা যায় না। আপনাদের বুঝতে হবে সাড়ে ১০ কোটি ভোটারের সঙ্গে মেলাতে হয়। সাবরিনার দ্বিতীয় ভোটার হওয়ার সময় মেশিন দেখিয়ে ছিল ‘নো ম্যাচ’। প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সাবরিনা যখন আঙুলের ছাপ দিয়েছেন। , তখন ‘নো ম্যাচ’ এসেছিল। ‘নো ম্যাচ’ মানে হচ্ছে এর কোনো ডুবলিকেশন নেই। আমরা যে তদন্ত কমিটি করেছি, তাতে বাইরের দুই জন্য সদস্য রাখা হয়েছে। যাতে গোঁজামিল দিয়ে রিপোর্ট দেওয়া না হয়।

দ্বৈত ভোটার হওয়ার অপরাধে বাড্ডায় থানায় সাবরিনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একটি মামলা দায়ের করেছে নির্বাচন কমিশন। এ মামলায় আদালত দুই দিনের রিমান্ডও দিয়েছেন সাবরিনাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।