হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এবারই প্রথম ব্যবহার হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। আধুনিক এ পদ্ধতিতে আগ্রহও ব্যাপক।
ইভিএমে একজন ভোটার চারবার আঙুলের ছাপ দিতে পারেন। এ সময়ে প্রকৃত ভোটার শনাক্ত না হলে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জাতীয় পরিচয়পত্র মিলিয়ে যাচাই করেন। তাই একটু বেশি সময় লাগে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার উবাহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলেন ৫৮ বছর বয়সী রহিমা বেগম। শ্রমজীবী এ নারীর হাতের আঙুলের রেখা অনেকটাই মিলিয়ে গেছে। চেষ্টা করেও তার ভোট নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় ফিরে যান। আবারও দুপুর পৌনে ২টায় আসলে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে তার ভোট নেওয়া হয়।
রহিমা বেগমের মতো আরো অন্তত ২০ জন ভোটারের ক্ষেত্রে এমন হয়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রে নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্য। এজন্য ভোট গ্রহণে ধীরগতি তৈরি হয়েছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার এক হাজার ৯৭৭ জন। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কাস্ট হয়েছে ৪৫ শতাংশ। তখনও কেন্দ্রের সামনে ৫ শতাধিক ভোটারের ভিড় ছিল।
কর্মরত প্রিজাইডিং অফিসার মজিবুর রহমান জানান, শুরুর দিকে ইভিএম এ ধীরগতি থাকলেও বর্তমানে গতি বাড়ছে। আঙুলের ছাপের বিষয়টিও ভোট গ্রহণে গতি কমিয়েছিলো।
শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসা আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে জানান, তিনি পেশায় রেস্টুরেন্ট কর্মী। পেঁয়াজ কাটার কারণে তার হাতের আঙুলের ছাপ উঠে গেছে। সেজন্য ভোট দিতে দেরি হয়েছে তার।
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, কিছু ভোটারের আঙুলের ছাপ একবারে হয় না। কারো ক্ষেত্রে যদি ৪ বার চেষ্টায়ও না হয় তাহলে একটু বেশি সময় লাগে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এনটি