ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি জালিয়াতি: উপ-সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ইসির মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২১
এনআইডি জালিয়াতি: উপ-সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ইসির মামলা

ঢাকা: কুষ্টিয়ায় এক ব্যক্তির পুরো পরিবারের সদস্যদের নামে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহ করার দায়ে এক উপ-সচিব, থানা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডি জালিয়াতি নিয়ে বড় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, ফরিদপুরের সাবেক জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-সচিব নওয়াবুল ইসলাম, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়ার সদর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ছামিউল আলম, মাগুরা সদরের থানা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস ও অফিস সহকারী জি এম সাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মাঠ পর্যায় থেকে রোববার (৭ মার্চ) পাঠানো এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা আইনের ২০ ধারা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ২৪, ৩৩ ও ৩৫ ধারা, পেনাল কোডে ১০৯, ৪২০, ৪৬৮ ধারা ও জাতীয় পরিচয়পত্র আইনের ১৭ ও ১৮ ধারায় মামলা করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ ) রাতে।  

ছামিউল আলমের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় ও বাকিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
তার পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এম এম এ ওয়াদুদ, বাবা মৃত আব্দুল হাকিম, সাং-১১০, এনএস রোড কুষ্টিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম তথ্যাদি ধারণ করে জালিয়াতির মাধ্যমে ০৬ (ছয়) জন ব্যক্তি কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্তে ওই কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ায় নিয়মিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, ওয়াদুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ভুয়া এনআইডি তৈরি করে একটি চক্র ওয়াদুদের জমি বিক্রি করে দেয়। ওয়াদুদ বিষয়টি জানার পর ইসিতে অভিযোগ দিলে তদন্তের পর নিজস্ব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিলো সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২১
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।