ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি সংশোধন: টেবিলে পড়ে আছে পৌনে ২ লাখ আবেদন

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২১
এনআইডি সংশোধন: টেবিলে পড়ে আছে পৌনে ২ লাখ আবেদন

ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের পৌনে দুই লাখ আবেদন দিনের পর দিন ধরে পড়ে আছে কর্মকর্তাদের টেবিলে। বিষয়টি নজরে আসায় কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এক্ষেত্রে ‘বিনা ব্যর্থতায় দায়িত্ব সম্পন্ন’ করার জন্য বলেছে সংস্থাটি।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের টেবিলে প্রায় পৌনে দুই লাখ আবেদন জমা পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। সংশোধন তো দূরের কথা সেগুলো নিষ্পত্তিও হচ্ছে না।

বর্তমানে সংশোধনের গুরুত্ব বিবেচনায় ক, খ, গ ও ঘ ক্যাটাগরির ভিত্তিতে থানা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমে আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া আছে।

জানা গেছে, এ চার ক্যাটাগরির মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬৪টি আবেদন অনিষ্পত্তি অবস্থায় পড়ে আছে। এদের মধ্যে ৫৩ হাজার ৬৯৬টি ক ক্যাটাগরির, খ ক্যাটাগরির ৪৩ হাজার ৭৭৩টি, গ ক্যাটাগরির ৬৯ হাজার ৪৯টি ও ঘ ক্যাটগরির আবেদন রয়েছে ১ হাজার ২৪৬টি। সবচেয়ে বেশি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে আছে ঢাকায়।

এ অবস্থায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইসি। মাঠ কর্মকর্তাদের আবেদনগুলো আগামী ৩০ জুনের মধ্যে অবধারিতভাবে নিষ্পত্তি করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।

এনআইডি মহপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর নিজেই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছে। গত ৭ মার্চ স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে- ইতোপূর্বে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।  

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত আবেদনগুলোর মধ্যে ‘ক, খ ও গ’ ক্যাটাগরির আবেদনগুলো নিষ্পত্তির জন্য থানা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমকর্তা হিসেবে ইলেকট্রিক্যালি ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।

বর্তমানে ১০টি অঞ্চলে ক, খ, গ এ তিন ক্যাটাগরিতে বিপুল সংখ্যক সংশোধনের আবেদন দীর্ঘদিন ধরে অনিষ্পত্তি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত আসা অনিষ্পন্ন সংশোধন আবেদনসমূহের মধ্যে এ তিন ক্যাটাগরির অনিষ্পন্ন আবেদনসমূহ আগামী ৩০ জুন ২০২১ তারিখের মধ্যে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে নিষ্পন্ন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় দায়িত্ব সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্দিষ্ট ছকের মাধ্যমে চিঠি পাওয়ার ১৫ কার্যদিবস ব্যবধানে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের অঞ্চল ও ক্যাটাগরি (জেলা, থানা/উপজেলা) ভিত্তিক তথ্য দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।