ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

যেভাবে ক্ষুদে বার্তায় নতুন ভোটাররা পাবেন এনআইডি নম্বর

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২১
যেভাবে ক্ষুদে বার্তায় নতুন ভোটাররা পাবেন এনআইডি নম্বর

ঢাকা: ভোটার হওয়ার পরও যারা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) না পাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন, তাদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে এনআইডি নম্বর।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, অনেক সেবা নেওয়ার জন্য বর্তমানে এনআইডি নম্বর জমা দেওয়া ‘বাধ্যতামূলক’ হয়ে গেছে। আর অনেকের এনআইডি না থাকার কারণে কিংবা না পাওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট সেবা থেকে বঞ্চিত হন। অথচ তাদের কেবল একটি নম্বর হলেই হয়।

এজন্য অনেকেই তড়িঘড়ি করে ভোটার হওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন অনুমোদন হয়ে কার্ড পেতে হয়তো একটি নির্দিষ্ট সময় লেগে যায়। কিংবা হালনাগাদের সময় ভোটার হওয়ার আবেদন করেছেন, কিন্তু এখনো এনআইডি পাননি। এমন সমস্যায় যারা রয়েছেন, যাদের কেবল এনআইডি নম্বর প্রয়োজন তারা ১০৫ নম্বরে বার্তা পাঠালে ফিরতি বার্তায় কাঙ্খিত নম্বর পেয়ে যাবেন।

এক্ষেত্রে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে NID লিখে স্পেস দিতে হবে। এরপর লিখতে হবে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন ফরম নম্বর। তারপর আবার স্পেস দিয়ে দিন-মাস-বছর ফরমেটে জন্মতারিখ লিখে পাঠাতে হবে ১০৫ নম্বরে।

গত মার্চে হালনাগাদের পর দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জনে। এদের মধ্যে এবার নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫৬ জন, যারা নতুন ভোটার হিসেবে এনআইডি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে খুব জরুরি এবং টিকাদান কার্যক্রমের প্রয়োজন ব্যতীত কাউকে মাঠ পর্যায়ে সেবা দিচ্ছে না ইসি। এক্ষেত্রে অনলাইনে নিজের এনআইডি নিজেকেই ডাউনলোড করার সুযোগ দিয়েছে ইসি।

ইসি কর্মকর্তা বলছেন, তাৎক্ষণিক এনআইডি নম্বরের প্রয়োজন পড়লে ১০৫ নম্বরে মেসেজ দিলেই হবে। আর নিজের এনআইডি নিজেই ডাউনলোড করে নিতে চাইলে একটু সময় লাগবে। কেননা, এতে ইসির ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার পর এটা নিতে হয়। আর একজন ভোটার কেবল একবারই এটা নিতে পারেন। পরের প্রতিবারের জন্য ইসি নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হয়।

এ বিষয়ে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর বলেন, এখন এনআইডি নম্বর ছাড়া কোনো কাজই করা যায় না। যদিও বেশিরভাগই ক্ষেত্রে এনআইডির কপি জমা দিতে হয়। কিন্তু এনআইডি নম্বর দিয়েও অনেক কাজ করতে হয়। এজন্য যাদের জরুরি ভিত্তিতে নম্বর প্রয়োজন, তাদের আমরা মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে এনআইডি নম্বরটা জানিয়ে দিই। এছাড়া অনলাইনে নিজের এনআইডি নিজেই ডাউনলোড করো নেওয়ার সুযোগ তো আছেই।

এই সেবা পেতে 
https://services.nidw.gov.bd ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে আবেদন করতে হবে। তার আগে ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। কত টাকা ফি জমা দিতে হবে তা নির্ভর করবে কতবার এনআইডি নেওয়া হয়েছে তার ওপর। প্রথমবার আবেদনের ক্ষেত্রে এক রকম ফি, দ্বিতীয়, তৃতীয়বারের জন্য আরেক রকম ফি, আবার জরুরি হলে আরও বেশি ফি জমা দিতে হয়। এজন্য ১০৫ নম্বরে ফোন করে বা ইসির ওয়েবসাইট থেকে টাকার অংক জেনে নেওয়া যাবে। তবে যারা নতুন ভোটার এবং এনআইডি পাননি, তাদের কোনো ফি লাগবে না। তবে এই সুযোগ কেবল একবার।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, এভাবে প্রাপ্ত এনআইডি দেখতে হুবুহু লেমিনেটিং করা এনআইডির মতো। এটি ডাউনলোডের পর প্রিন্ট করে কেবল নিজে থেকে লেমিনেটিং করে নিতে হবে। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তাদের কেউ এনআইডি না পেয়ে থাকলে কোনো ফি ছাড়াই পাবেন।

২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল অনলাইনে এনআইডি সেবার উদ্বোধন করে ইসি। আর ১০৫ নম্বরটি চালু করা হয়েছে ২০১৫ সালে। তখন খুব সীমিত সেবা পাওয়া যেত। ধীরে ধীরে ১০৫ নম্বর থেকে সেবা বাড়াচ্ছে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২১
ইইউডি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।