ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

মাঠ পর্যায়ে এনআইডি সেবা অব্যাহত রাখার নির্দেশ ইসির

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
মাঠ পর্যায়ে এনআইডি সেবা অব্যাহত রাখার নির্দেশ ইসির

ঢাকা: করোনাকালীন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা সব সময় অব্যাহত রাখতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেও কোনো ছাড় নয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেও সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে সেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য করোনায় আক্রান্তের বিকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রস্তুত রাখার জন্যও বলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ঢাকা মহানগরে প্রতি মঙ্গলবার ও ঢাকার বাইরে প্রায় প্রতিদিন অফিস খোলা রেখে সেবা দিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার পার্শ্ববর্তী এক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, কোনো ছাড় নেই। কোনো প্রণোদনাও নেই। তবু সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রবাসী, ছাত্র-ছাত্রী, বিদেশগমনেচ্ছু ও করোনার টিকা কার্যক্রমের জন্য এনআইডি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ছাড়া উপায়ও নেই।

ইসির এনআইডি শাখার সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান সম্প্রতি সব আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে জরুরি জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিকল্প কর্মকর্তা/কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া আবশ্যক।

এমতাবস্থায় মাঠ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিকল্প কর্মকর্তা/কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়াপূর্বক অত্র সচিবালয়ের জনবল অধিশাখাকে জানাতে হবে।

উত্তরা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এনআইডি এখন জরুরি সেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কার্যক্রম তো অব্যাহত রাখতে হবে। তাই আমরা ঢাকা মহানগরে প্রতি মঙ্গলবার অফিস খোলা রেখে সেবা দিচ্ছি। অন্যান্য দিন হোম অফিস চলছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ইসির সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা গেছেন।

রোববার (২৫ জুলাই) সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোহাম্মদ এনামুল হক মারা যান।

করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালে মারা যান নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় কর্মরত সাবেক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইবুর ও ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের অফিস সহায়ক মো. বাবলুর করিম।

২০২১ সালে মারা গেছেন মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা আলিফ লায়লা, চট্টগ্রামের সাবেক জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সাবেক অফিস সহায়ক শহিদুল ইসলাম।

এ পর্যন্ত ইসির অন্তত ১৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭১ জন। অন্যরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন রাজশাহীতে ৩৫ জন। সবচেয়ে কম সাতজন করে আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা ও ফরিদপুরে। খুলনায় ২৬ জন, সিলেটে ১১ জন, চট্টগ্রামে ১৩ জন, কুমিল্লায় ১১ জন, বরিশালে ১২ জন ও রংপুরে ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।