ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বোয়ালমারীতে ৩ নৌকা প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
বোয়ালমারীতে ৩ নৌকা প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নয়টিতেই নৌকা প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। জয় পেয়েছেন মাত্র একটিতে।

আর জামানত হারিয়েছেন আ.লীগের তিন প্রার্থী।

জানা যায়, কোনো প্রার্থী মোট কাস্টিং ভোটের ১২.৫% ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

নৌকা প্রতীকের একমাত্র বিজয়ী প্রার্থী হলেন শেখর ইউনিয়নের কামাল আহমেদ। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৮শ’ ৭৩ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের  বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯শ’ ৮৬ ভোট।

এছাড়া বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আব্দুল হক শেখ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত এ.কে.এম হামিদুল বারি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ২০১ ভোট, নৌকা পেয়েছে ৮৭০ ভোট।

ময়না ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল হক মৃধা হাতপাখা প্রতীকে ৫ হাজার ৬শ’ ৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের পলাশ বিশ্বাস পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৪৮ ভোট।

চতুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম চশমা প্রতীকে ৪ হাজার ৫শ’ ৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস. এম আলিমুজ্জামান পেয়েছেন ৪ হাজার ২শ’ ৬৬ ভোট। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খোন্দকার মো. আবুল বাসার ৭১৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে।

গুনবহা ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত মো. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ) চশমা প্রতীকে ৪ হাজার ৯শ’ ৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী  মু. আমিনুল ইসলাম মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১শ’ ৮১ ভোট। এখানে নৌকা ১ হাজার ৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে।

সাতৈর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত রাফিউল আলম মিন্টু ৫ হাজার ৮শ’ ৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মজিবর রহমান পেয়েছে ৫ হাজার ৭০৮ভোট।

ঘোষপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমরান হোসেন নবাব আনারস প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ১শ’ ৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মো. ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৯শ’ ১৩ ভোট।

রূপাপাত ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মোল্যা আনারস প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মো. মহব্বত আলী পেয়েছেন ৩ হাজার ২০৪ ভোট।

পরমেশ্বর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মান্নান মাতুব্বর ঘোড়া প্রতীকে ৪ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাব্বির মিনা অনিক পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৫ ভোট। নৌকা এ ইউনিয়নে রয়েছে চার নম্বরে।

দাদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ৫ হাজার ১২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ. লীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মো. শামীম মোল্যা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন  ৪ হাজার ১১০ ভোট। নৌকার শেখ সাজ্জাদুর রহমান হাই ১ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে।

নৌকার প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্তের ব্যাপারে জানতে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করলে অন্য একজন রিসিভ করে বলেন তিনি ভুলে মোবাইল বাসায় রেখে গেছেন।

তবে এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম. এম মোশারফ হোসেন মুশা মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, নৌকার তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমরা হেরে গেছি এতটুকু জানি। এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।