নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, যদির কথা নদীতে ফালায় (ফেলে) দেন। আমি এখন দলের ক্যান্ডিডেট না।
তিনি বলেন, আমি জনগনের দাবীতে প্রার্থী হয়েছি। ২০১১ সালে দলের সিদ্ধান্তে বসে যাই। ১৬ সালে দল নমিনেশন দেওয়ার পরেও নির্বাচনে যাইনি। এবার আমি জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবো না।
শনিবার (১ জানুয়ারি) বন্দরের ২১ ও ২২ নং ওয়ার্ডে প্রচারণায় নেমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার।
তিনি বলেন, নগরবাসী এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন, তারা পরিবর্তন চায়। আগামী ১৬ জানুয়ারি আপনারা এর ফলাফল দেখবেন।
তৈমূর বলেন, বিগত পঞ্চাশ বছরে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমার। আমি রাষ্ট্রীয় পরিবহনও পরিচালনা করেছি এবং তা লাভজনক অবস্থায় রেখেছি। আমার সময়ে সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার নাম্বার বিআরটিসির ট্রাকে, বাসে এমনকি দেওয়ালে দিয়ে রেখেছি যেন মানুষ অভিযোগ জানাতে পারে। এভাবে আমি বিষয়টা অবগত হয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। শ্রমিক মজুরদের সঙ্গে আছি, অনেক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আছি। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জনগণের পালস আমি বুঝবো।
তিনি আরও বলেন, কালীরবাজার জেলখানা থেকে ডিভিশন জেলখানা পর্যন্ত আছি ছিলাম। রিকশা ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট থেকে রাষ্ট্রীয় পরিবহনের প্রেসিডেন্ট হয়েছি৷ জনগণের কোন জিনিস আগে দরকার সেটা বুঝে কাজ করবো। কোনো উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে না। প্রতি বছরই বাজেট বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিটি করপোরেশন কয়েকজন ঠিকাদারের করপোরেট সিন্ডিকেটে পরিনত হয়েছে। এ করপোরেট সিন্ডিকেট থেকে মানুষ মুক্তি পাক।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমি যেখানে যাই সেখানে সব স্তরের জনগণ আমার পাশে দাঁড়ায়৷ আমার সঙ্গে এত লোক এরা কারা, এরা তো বিএনপির লোকই। স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট আলাদা। বাংলাদেশের মানুষ স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করতে অভ্যস্ত নয়৷ তারা প্রার্থীকে দেখে, প্রতীক নয়। আর সরকার দলীয় প্রার্থীর নিজেরই তো আস্থা নেই প্রতীকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২১
জেডএ