ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

তাকে নাকি কেউ সাপোর্ট দেয় না, আমি কী করব: তৈমূর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২২
তাকে নাকি কেউ সাপোর্ট দেয় না, আমি কী করব: তৈমূর

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন যখন শামীম ওসমান তোলারাম কলেজের ভিপি, ছাত্রনেতা। তখন আমি নারায়ণগঞ্জে একজন ডাকসাইটে শ্রমিক নেতা।

আমি শামীমের পায়ে হাঁটি না, আমি নিজস্ব জনশক্তিতে হাঁটি।

তিনি বলেন, তাকে (আইভী) নাকি কেউ সাপোর্ট দেয় না, এখানে আমি কি করব? নিজেদের এমপি, দলের নেতা-কর্মীরা যদি তাকে সাপোর্ট না দিলে আমার করার কিছু নেই। সিটি করপোরেশনে অতিরিক্ত তিন-চারগুণ কর দিতে গিয়ে তারাও ভুক্তভোগী। আমি তো সবার ভোট চাইব। প্রধানমন্ত্রী তিনবার আমার কথা বলেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের ভোটার হলে সবার আগে তার কাছে গিয়ে ভোট চাইতাম। আইভী প্রার্থী না হলে আইভীর ভোটও চাইতাম।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নির্বাচনী প্রচারকালে ‘তিনি (তৈমূর) শামীম ওসমানের প্রার্থী এবং আইভীকে শামীম ওসমান সমর্থন দেয়নি’ বলে আইভীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের একথা বলেন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

তৈমূর বলেন, স্থানীয় সরকার জাতীয় সরকার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি প্রশাসনের ওপর কখনও নির্ভর করিনি, কখনও করবও না। বিআরটিসিতে থাকার সময় কারও ওপর নির্ভর করিনি। নিজের টেলিফোন নম্বর সব জায়গা দিয়ে রেখেছিলাম। এতে আমি মনে করি আমার কাজটা সুন্দর হয়েছে। আমি আজকে থেকে রাস্তা ঝাড়ু দেই না। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তা ঝাড়ু দেই। এটা আমার জন্য কোনো সমস্যা না।

তিনি বলেন, আমি জনগণের প্রার্থী। জনগণের চাহিদার কারণেই আমাকে প্রার্থী হতে হয়েছে। পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন ১৮ বছর যাবৎ এক ব্যক্তির হাতে। এতে ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট শক্ত হয়েছে, কিন্তু নগরবাসীর সেবা বাড়েনি। ফলে নগরবাসী এখন ঐক্যবদ্ধ। এখানে একেক জন একেক দল করে। কিন্তু ডান, বাম সবাই আমার পাশে আছে। নারায়ণগঞ্জের নাগরিকদের জিম্মাদারি কার কাছে হেফাজতে থাকবে এটা দেখার দায়িত্বও তাদের। সে হিসেবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। আমি বিএনপি কি বিএনপি না- এটা নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করেন। আমাকে বিএনপি বহিষ্কার করেনি। তারা আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে সব দলের সমর্থন যেন আমি পাই।

তিনি আরও বলেন, আমি উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। আমার জন্ম রাজপথে। আমি চাই আমার মৃত্যুটাও যেন রাজপথেই হয়।

তৈমূর বলেন, আমি নিজে একজন স্পোর্টসম্যান। আমি সাভার আর্মি গলফ ক্লাবের সদস্য। রাইফেল ক্লাবে খবর নিয়ে দেখবেন আমি বেস্ট শ্যুটার ছিলাম। সুপ্রিম কোর্টে আমি তিনবার ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ান হয়েছি। খেলাধুলার প্রতি ছোটবেলা থেকেই আমার ঝোঁক। সে হিসেবে আমি মনে করি কিশোর গ্যাংয়ের জন্য দায়ী সমাজ ও স্থানীয় সরকার। তাদের দায়িত্ব মানুষের কাছে বিকল্প তুলে দেওয়া। এগুলো আমার জন্য বেশি জরুরি। নির্বাচিত হলে আমি সিটি করপোরেশনকে নিজের সন্তানের মত চালাব।

তিনি আরও বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) আমার সঙ্গে হেঁটে দেখেন, একশ লোক নিয়ে বের হলে, হাজার লোক হয়ে যায়। সব দলমতের লোক আমার সঙ্গে আসছে। তিনি  (আইভী) অ্যাপার্টমেন্ট করেছেন। যা সিটি করপোরেশনের কাজ না, এটা রাজউকের কাজ। এই অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির স্বচ্ছতা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। এখানে কমিউনিটি সেন্টারসহ সামাজিক স্থাপন করা উচিৎ ছিল, তিনি সেটা করেননি। দোকান-ফ্ল্যাট করে বিক্রি করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ৮ জানুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।