ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়বেন ইসি কমিশনার কবিতা খানম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়বেন ইসি কমিশনার কবিতা খানম

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ার কথা ভাবছেন। আর বিষয়টি তিনি নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে করা ওই পোস্টে শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তাও কামনা করেছেন তিনি।

কবিতা খানম লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষীগণ, একটা লিগ্যাল কনসালটেন্সি ফার্ম খোলার কথা ভাবছি। বাংলাদেশে সিভিল ও ক্রিমিনাল প্রসিডিউর সম্পর্কে ধারণা না থাকায় মানুষ প্রতিনিয়ত নানারকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এইরকম বিপদগ্রস্ত মানুষজনকে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে ইচ্ছুক। এ ব্যাপারে কেউ আগ্রহী হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ। ’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের একজন সদস্য বেগম কবিতা খানম। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি অন্য নির্বাচন কমিশনারদের মতোই স্বীয় পদ থেকে অবসরে যাবেন।

নির্বাচন কমিশনার হওয়ার আগে তিনি জেলা জজের দায়িত্ব পালন করে সরকারি চাকরি থেকে ২০১৬ সালে অবসর লাভ করেন। এরপর ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে রাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন।

বেগম কবিতা খানম ১৯৫৭ সালের ৩০ জুন তারিখে নওগাঁ জেলার নওগাঁ সদর উপজেলার উকিল পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁ বিএমসি কলেজ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে বিএসসি অনার্স, ১৯৭৮ সালে এমএসসি এবং ১৯৮১ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ সালে মুনসেফ হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে যোগাদান করেন। সর্বশেষ তিনি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস থেকে অবসরে যান। চাকরি জীবনে তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় সহকারি জজ, সিনিয়র সহকারি জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে বিচারক, লেবার কোর্টের চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
ইইউডি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।