নারায়ণগঞ্জ: বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টায় শহরের দেওভোগে শিশুবাগ স্কুল কেন্দ্রে আইভী ভোট দেন।
এর আগে, তিনি সকালে মাসদাইরে বাবা আলী আহাম্মদ চুনকার কবর জিয়ারত করেন।
ভোট দিয়ে আইভী ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইভী বলেন, ‘আমি শুকরিয়া করছি যে, আমি সুন্দরভাবেই ভোট দিতে পেরেছি। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বেশ স্লো গতিতে ভোট হচ্ছে। আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ তারা যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে। আর আমি (আইভী) জিতবোই, নৌকাও জিতবে। কারণ এ শহরের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। গণজোয়ারের জয় হবেই। সব কেন্দ্রেই হাতির এজেন্ট রয়েছে। বরং অনেক কেন্দ্রে আমার এজেন্ট ছিল। এখন সব স্বাভাবিক রয়েছে’। আইভী ২০০৩ সালে বিলুপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর ও ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর টানা দুইবার মেয়র নির্বাচিত হন।
আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে মেয়রসহ ৩৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮৯ প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, ২৭টি ওয়ার্ডে ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন ভোটার ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের ১৩৯৬টি ভোটকক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলী আহাম্মদ চুনকা কন্যা ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। তার একমাত্র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা হাতি প্রতীকের অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। অবশ্য মেয়র পদে আরও ৫ প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাত পাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে রয়েছে, পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আটজন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। নির্বাচনে পুলিশের ২৭টি ইউনিট স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের মোবাইল টিম ৬৪টি, প্রতি টিমে সদস্য পাঁচজন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৪ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন আছে। নির্বাচনে সহিংসতা রোধে ১৪ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এমআরপি/এএটি