নোয়াখালী থেকে: নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের বুথে টোকেন মিলিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়া ভোটারের বাটন চেপে দিচ্ছেন আরেকজন- এমন অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্টরা।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) নোয়াখালী পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহণকালে কয়েকটি কেন্দ্রের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্টরা এ অভিযোগ করেন।
বেলা ১২টার দিকে মাইজদী পাবলিক কলেজ কেন্দ্রে মোবাইল প্রতীকের লুৎফর হায়দার লেনিনের এজেন্ট ইমাম হোসেন রাসেল অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের বুথে ঢুকলে তাকে বের করে দেওয়া হয়। ভোটাররা কেন্দ্রে ঢোকার পর ফিঙ্গার মিললেও ভোট দিতে পারছেন না। নৌকা প্রতীকের এজেন্টরা বাটন চেপে ভোট দিচ্ছেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজদী পাবলিক কলেজ কেন্দ্রে মোবাইল ও কম্পিউটার প্রতীকের এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
কম্পিউটার প্রতীকের এজেন্ট মাকসুদুর রহমান রনি বলেন, পাশের মহিলা কেন্দ্র আল ফারুক স্কুলেও একই অবস্থা। বুথের ভেতরে থাকা সবাই নৌকা প্রতীকের হয়ে কাজ করছে। পুলিশ, আনসার সবার সহযোগিতায় চলছে ভোট কারচুপি।
একই ভাবে হরিরামপুর কেন্দ্র, আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রসহ আরও অন্তত ১০টি কেন্দ্রে বুথ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আল ফারুক স্কুল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. আলাউদ্দিন বলেন, অভিযোগ অসত্য যার ভোট সে দিচ্ছেন। ফিঙ্গার না মিললে ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না।
তবারক হোসেন নামে এক ভোটার জানান, সকাল থেকে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তিনি ভোট দিতে পারেননি। ভীষণ ধীর গতিতে চলছে ভোট গ্রহণ।
অরুণ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও এমন ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন মোবাইল ফোন প্রতীকের লুৎফুল হায়দার।
এদিকেএজলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌরসভার বর্তমান মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, এমন অভিযোগ অমূলক। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা কেন্দ্রে আসছেন। ভোটাররা নৌকাতেই ভোট দেবে এবং বিপুল ভোটে জয়ী হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২
ইএস/এসএইচডি/এসই/এমএমজেড