ঢাকা: জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের অধীনে নেওয়া আইডিইএ প্রকল্পের জনবলকে রাজস্ব খাতে না নিয়ে নতুন করে আরেকটি প্রকল্প নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কর্মীরা।
তারা বলছেন, এনআইডি সেবার বিপরীতে যে রাজস্ব আদায় হয়, তা দিয়েই ৭৩ জন লোকবলের বেতন দেওয়া সম্ভব।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন ভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এসব কথা বলেন।
এতে অংশ নেন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মনিরুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, জিল্লুর রহমান তুষার, রেজাউল করিম, নাহিদ ইসলাম, সায়েম আহমেদ, আবুল হোসেন সাগর, টেকনিক্যাল সাপোর্ট সাখাওয়াত হোসেন, রাজিবুল ইসলাম, মশিউর রহমান, পারভেজ হোসেন, কামরুল ইসলাম, অ্যাসোসিয়েট রাফি আহমেদ, শফি উল্লাহসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, আইডিইএ প্রকল্পের লোকবলকে রাজস্ব খাতে নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। একইসঙ্গে সরকারের কাছে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। এ অবস্থায় প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর কথা। কিন্তু তা না করে নতুন করে আইডিইএ-২ নামের আরেকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং এতে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। নতুন প্রকল্পে যোগ দিলে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে কর্মীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, ২০০৭ সাল থেকে আইডিইএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন। রাজস্ব খাতে নিলে সরকারের বাড়তি কোনো ব্যয়ও হবে না। কেননা, এনআইডি সেবা থেকে যে আয় হয়, তা থেকে কর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব। চলমান আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় শুধুমাত্র জনবলের বেতন-ভাতা বাবদ বাৎসরিক প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার প্রয়োজন হচ্ছে। এসব দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবলকে রাজস্ব বাজেটের আওতায় স্থানান্তর করা হলে বছরে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।
এনআইডি অনুবিভাগ কর্তৃক জাতীয় পরিচিতি সেবার আওতায় ২০১৫ সাল থেকে আগষ্ট ২০১৯ পর্যন্ত প্রায় ১৪৫ কোটি টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। এ সেবা থেকে গড়ে বাৎসরিক প্রায় ৩৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
ইইউডি/এনএসআর