চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা ও আনারস প্রতীকের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা পাল্টা-হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে কয়েকজন। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার রেশ ধরে অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছে নির্বাচনী অফিসে। ভাঙচুর করা হয়েছে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপু বলেন, পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন প্রায় দিনই নৌকার পক্ষ নিয়ে তিতুদহ ইউপির নির্বাচনী এলাকায় এসে আমার কর্মীদের হুমকি ধামকি দেয়। রাতেও ওই বহিরাগতরা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে আমার গিরিশনগর ও তিতুদহ দক্ষিণপাড়ার দুটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় আমার কর্মী তছলিম উদ্দীনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ভাঙচুর করা হয় মাহবুব রিপনের মোটরসাইকেল। জখম করা হয় রিপনকেও। এছাড়া ওই হামলায় আহত হয় মিঠু ও আব্দুল লতিফ।
এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলী বলছেন, আমরা নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছিলাম। আমাদের বহরের পিছনে এসে আনারস প্রতীকের লোকজন নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এ সময় তারা আমাদের মাইক্রোবাসে হামলা চালায়। তিতুদহ বাজার ও গিরিশনগরের ৩টি নির্বাচনী অফিসে চালায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। পুড়িয়ে দেয় নৌকা প্রতীক। কর্মীদের উপর চালায় হামলা। যে হামলায় আমার পক্ষের হাসান, মানিক, ওমর ফারুক, শাহিন ও রায়হান গুরুতর আহত হয়।
আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহসানুল হক।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর জানান, দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
কেএআর