ঢাকা (কেরানিগঞ্জ): ষষ্ঠ ধাপে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪টি এবং দোহার উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে ভোটারদের।
অধিকাংশ কেন্দ্রে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্ট না থাকায় কোনো অপ্রিয়কর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে একতরফা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। প্রতিটি ইউনিয়নেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা।
শুরুর দিকে বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন হয়ে ওঠে শুধু মেম্বারি নির্বাচন। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার পর বুথে গিয়ে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনে ভোট দিতে দেখা গেছে। অনেক ভোটার তাদের পছন্দের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট দিতে না পেরে শুধু মেম্বারদেরই ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
নবাবগঞ্জের চুড়াইন ইউনিয়নের মুসলিম হাটি তালিমুল কোরান মাদরাসা কেন্দ্রে এক ভোটারের কাছে বাংলানিউজ ভোট না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, নৌকাতো এমনিই নির্বাচিত হবে, ভোট দিয়ে কি হবে? তাই ভোট দেইনি।
নবাবগঞ্জের আগলা, কৈলাইল, চুড়াইন,শোল্লা, দোহারের বিলাশপুরসহ প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে শুধু নৌকার এজেন্টদেরই দেখা গেছে।
শোল্লা ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সালাম মাস্টার জানান, সকালেই আমাদের সব এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাই বেলা ১১টার আগেই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বর্জন করেছি। এই চিত্র শুধু শোল্লার নয় প্রতিটি ইউনিয়নে একই চিত্র। কোনো কেন্দ্রেই নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো এজেন্ট ছিল না।
আগলা ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বতন্ত্র প্রার্থী জানান, নিজেই এলাকায় থাকতে পারিনা, কেন্দ্রে যাবো কীভাবে। সুষ্ঠু ভোট হলে আমিই জয়ী হতাম।
প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দেওয়া ও নৌকা ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্ট না থাকার কারণ জানতে চাইলে মুসলিম হাটি তা'লিমুল কোরান মাদরাসার প্রিজাইডিং অফিসার মো. রিজোয়ান বলেন, আমিতো বাড়ি থেকে এজেন্ট এনে দেবনা, যে এজেন্ট তাদের কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করেছেন সবার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আর প্রকাশ্যে কোনো ভোটের ঘটনা এখানে ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
এমআরএ